(Source: Poll of Polls)
আগাম জামিনের পর আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে আলিপুর আদালতে রাজীব কুমার
মঙ্গলবারই এডিজি সিআইডি রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট।
কলকাতা: সারদাকাণ্ডে হাইকোর্টে আগাম জামিন পাওয়ার পর, আলিপুর আদালতে এডিজি সিআইডি রাজীব কুমার। মঙ্গলবার হাইকোর্ট থেকে সারদা মামলায় আগাম জামিন পেয়েছেন রাজীব কুমার। বাকি আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আজ তিনি সকাল ১১টা নাগাদ আইনজীবীদের নিয়ে আলিপুর আদালতে যান। গত মঙ্গলবারই এডিজি সিআইডি রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করল কলকাতা হাইকোর্ট। ডিভিশন বেঞ্চ রায়ে জানায়, রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করা হলেও তৎক্ষণাৎ জামিনের বন্দোবস্ত করতে হবে। সিবিআই সূত্রে দাবি, রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাবে তারা। মঙ্গলবার বিচারপতি শহিদুল্লা মুন্সি এবং বিচারপতি শুভাশিস দাশগুপ্ত এদিন রায় দিতে গিয়ে বলেন, রাজীব কুমার এই মামলায় তদন্তকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করেছেন। তাই তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে আমরা মনে করছি না। পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চ এদিনে রায়ে আরও জানিয়েছে, প্রয়োজন হলে ৪৮ ঘণ্টা আগে নোটিস পাঠিয়ে রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই। গ্রেফতার করা হলেও তৎক্ষণাৎ তাঁর জামিনের বন্দোবস্ত করতে হবে। এর আগে, কলকাতা হাইকোর্টই রাজীব কুমারের আইনি রক্ষাকবচ সরিয়ে নেয়। তারপর সিবিআই রাজীব কুমারকে নোটিস পাঠালেও তিনি আসেননি। আগাম জামিনের আর্জি জানিয়ে তিনি বারাসাত জেলা ও দায়রা আদালতের দ্বারস্থ হলেও বিচারক সেই মামলা পাঠিয়ে দেন আলিপুর আদালতে। যেখানে রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। এরপর এই আর্জি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এডিজি সিআইডি রাজীব কুমার। গত সপ্তাহের বুধবার থেকে এই মামলার শুনানি শুরু হয়। রাজীব কুমারের আইজীবীদের আর্জি অনুযায়ী, শুনানি হয় রুদ্ধদ্বার এজলাসে। অবশেষে মঙ্গলবার এডিজি সিআইডি-র আগাম জামিনের আর্জি মঞ্জুর করল হাইকোর্ট। সিবিআই সূত্রে দাবি, হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তারা সুপ্রিম কোর্টে যাবে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে দাবি, হাইকোর্টের রায়ের কথা ইতিমধ্যে দিল্লিতে সদর দফতরে জানানো হয়েছে। সদর দফতরের আইনি বিভাগ থেকে রায়ের বিস্তারিত কপি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে হাইকোর্টে সওয়াল-জবাবের বিস্তারিত রিপোর্টও চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এই সব নথি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, হাইকোর্টের রায়ের কোন কোন অংশগুলিকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হবে।