Pegasus Case: পেগাসাসকাণ্ডে রাজ্য সরকারের গঠিত কমিশনের অনুসন্ধানে সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ
Supreme Court: কিছুদিন আগেই পেগাসাস তদন্তে রাজ্য সরকারের গঠিত কমিশনের তরফে ২১ জনকে তলব করা হয়। তাঁদের মধ্যে রাহুল গাঁধী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর, রাকেশ আস্থানা, এক প্রাক্তন আইএএস ছিলেন।
নয়াদিল্লি: পেগাসাসকাণ্ডে (Pegasus Case) রাজ্য সরকারের (West Bengal Government) গঠিত তদন্ত কমিশনের (Probe Commission) কাজের ওপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই স্থগিতাদেশ দিয়েছে। ইতিমধ্যেই পেগাসাসকাণ্ডের তদন্তে কমিটি গঠন করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তারপরও কী করে আলাদা কমিশন কাজ করছে রাজ্যে, এই প্রশ্ন তুলে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মদন বি লকুরের নেতৃত্বে দুই সদস্যের ওই কমিশন গঠন করে রাজ্য সরকার। রাজ্যের কমিশন কাজ করবে না, গত শুনানিতে এই মৌখিক আশ্বাস দিয়েছিলেন রাজ্যের আইনজীবী। তারপরেও কী করে কমিশন কাজ শুরু করে দিল, রাজ্যের আইনজীবীকে সেই প্রশ্ন করে ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিকে, পেগাসাসকাণ্ড নিয়ে রাজ্যের কাছে সব তথ্য চেয়েও পাননি বলে ট্যুইটারে অভিযোগ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, ‘মুখ্যসচিবকে জানিয়েও পেগাসাসকাণ্ডে কমিশন গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি থেকে শুরু করে কোনও তথ্য মেলেনি। ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ওই তথ্য পাঠানো হোক।’
আরও পড়ুন পেগাসাস তদন্তে রাহুল, অভিষেক, পিকে, রাকেশ আস্থানাদের তলব রাজ্য সরকারের গঠিত কমিশনের
এ বছরের জুলাই মাসে ইজরায়েলি স্পাইওয়ার পেগাসাস ঘিরে হইচই শুরু হয় বিশ্বজুড়ে। দ্য গার্ডিয়ান দাবি করে, ভারতের মতো সারা বিশ্বের ১৮০ জনের বেশি সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, শিল্পপতি, ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের ফোন হ্যাক করা হয়েছে পেগাসাসের মাধ্যমে। ‘দ্য ওয়ার’-এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, হ্যাকারদের নিশানায় ছিলেন রাহুল গাঁধী থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বিরোধী নেতা, এমনকী প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার ছিলেন অশোক লাভাসার মতো ব্যক্তিত্ব।
২৭ অক্টোবর পেগাসাসকাণ্ডের তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে সর্বোচ্চ আদালত। তিন সদস্যের এই কমিটির প্রধান সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি আরবি রবীন্দ্রন। কমিটির বাকি দুই সদস্য অলোক জোশী ও সন্দীপ ওবেরয়।
তার অনেক আগেই অবশ্য রাজ্য সরকার তদন্ত কমিশন গঠন করে। ২৬ জুলাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “প্রথম রাজ্য হিসেবে তদন্ত কমিশন গঠন করল পশ্চিমবঙ্গ। ক্যাবিনেটের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কীভাবে হ্যাকিং করা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখবে কমিশন। বাংলার সাংবাদিকদের ফোন হ্যাক করা হয়েছে।”
এবার সেই তদন্ত কমিশনের কাজের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট।