অসমের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন হেমন্ত বিশ্বশর্মা
দুই নেতার সঙ্গেই গতকাল দিল্লিতে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বৈঠক হয়েছিল। এখন সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন।
গুয়াহাটি: অসমের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। অসমের মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে গতকাল থেকেই বিজেপির অন্দরে একের পর এক বৈঠক চলেছিল। সর্বানন্দ সোনোয়াল ও হেমন্ত বিশ্ব শর্মাকে বিজেপির হাইকমান্ড আলোচনার জন্য দিল্লিতে ডেকেছিল। দুই নেতার সঙ্গেই গতকাল দিল্লিতে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বৈঠক হয়েছিল। এদিন সকালেই সূত্র মারফৎ জানা যায়, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন।
জানা গিয়েছিল যে, অসমে আজ দুপুরেই বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠক হবে। ওই বৈঠকেই রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নামে সিলমোহর পড়তে চলেছে। এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরেন্দ্র তোমর ও বিজেপি সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিংহ কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বৈঠকে থাকবেন অসমে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বৈজয়ন্ত পান্ডা। বিজেপি রাজ্য সভাপতি রঞ্জিত কুমার দাস পরিষদীয় দলের বৈঠকের আয়োজনের জন্য শনিবার সন্ধেয় বিধানসভায় গিয়েছিলেন।
অসমে বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন হয়েছে বিজেপির
এবারের অসম বিধানসভা নির্বাচনে ১২৬ আসনের মধ্যে বিজেপি ৬০ আসনে জয়ী হয়েছে। অন্যদিকে, জোট শরিক অসম গণ পরিষদ ৯ ও ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবারাল ছয় আসন জিতেছে। বিজেপি ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে সোনোয়ালকে মুখ করে লড়াই করেছিল বিজেপি। আর এরইসঙ্গে উত্তর-পূর্বের কোনও রাজ্যে প্রথমবার বিজেপি সরকার গঠিত হয়েছিল। এবার বিজেপির বক্তব্য ছিল, পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা ভোটের পরেই স্থির হবে।
মুখ্যমন্ত্রী সোনোয়াল কংগ্রেসের রাজীব লোচন পেগুকে ৪৩,১৯২ ভোটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার জিতছেন। অন্যদিকে, রাজ্যের মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হেমন্ত বিশ্বশর্মা বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের রমেন চন্দ্র বোরঠাকুরকে ১,০১,৯১১ ভোটে হারিয়ে জিতেছেন। সোনোয়াল ও হেমন্ত বিশ্বশর্মা সহ আরও ১৩ মন্ত্রী এবারের ভোটে জিতেছেন।
ভোটে জেতার পর থেকেই অসমে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। অবশেষে সেই জল্পনার অবসান ঘটে।
শেষপর্যন্ত অসম বিজেপির পরিষদীয় দলনেতা নির্বাচিত হন হিমন্তই। এরপর রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানাবেন তিনি। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী সোনোয়াল তাঁর নাম প্রস্তাব করেন।