Abhishek Banerjee Rally: ১৫ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরায় অভিষেকের পদযাত্রায় অনুমতি দিল না পুলিশ
আগরতলার রবীন্দ্রভবন থেকে চৌমোহনী পর্যন্ত পদযাত্রা কর্মসূচি ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের। ১৫ তারিখ দুপুর ২টোয় এই কর্মসূচি ছিল অভিষেকের।
আগরতলা: ১৫ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরায় তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রায় অনুমতি দিল না পুলিশ। কিছুক্ষণ আগেই ত্রিপুরা পুলিশ একথা জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। আগরতলার রবীন্দ্রভবন থেকে চৌমোহনী পর্যন্ত পদযাত্রা কর্মসূচি ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের। ১৫ তারিখ দুপুর ২টোয় এই কর্মসূচি ছিল অভিষেকের।
ওই রুটে ওই দিন অন্য রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই কর্মসূচিতে আগেই অনুমতি দেওয়া ছিল। তাই এই পদযাত্রার অনুমতি দেওয়া যাবে না, জানিয়েছে ত্রিপুরা পুলিশ।
এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর ট্যুইট করে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন যে, ' ১৫ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরার আগরতলায় পদযাত্রা করবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির সন্ত্রাস, অপশাসন, জনবিরোধী নীতি, কথা না রাখার প্রতিবাদে এবং ত্রিপুরার প্রকৃত উন্নয়নের অভিযানকে সামনে রেখে কোভিড সতর্কতা রক্ষা করে এই পদযাত্রা করবেন তিনি।'
২০২৩-এর বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে, ত্রিপুরা দখল করতে আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছে তৃণমূল। আগস্টের একদম শুরুতে টিম পিকে-র ২৩ জন সদস্যকে হোটেলবন্দি করা ও কোভিড বিধিভঙ্গের অভিযোগে মামলা রুজু করায় ত্রিপুরায় তৃণমূল-বিজেপির চাপানউতোর শুরু হয়। এরই মধ্যে বিশ্রামগড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে বিজেপি কর্মীদের হামলার অভিযোগে আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ত্রিপুরার রাজনীতি। আগরতলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিমানবন্দর থেকে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের দিকে যাওয়ার সময় মাঝপথে তাঁর গাড়িতে লাঠির বাড়ি মারা হয়। সেই ভিডিও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই ট্যুইট করেন।
পাল্টা লোকসভা ভোটের প্রচারে বঙ্গে প্রচারে আসার সময় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ের ওপর হামলার প্রসঙ্গ টেনে, আক্রমণ শানায় বিজেপি। এরপর থেকেই ত্রিপুরাকে পাখির চোখ করে তৃণমূল নানা কর্মসূচি নেয়। গত ১৬ অগাস্ট ত্রিপুরায় খেলা হবে দিবস পালন করে তৃণমূল।
এরপর একাধিকবার ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। সবক্ষেত্রেই অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে ত্রিপুরার শাসক দল বিজেপি।