India to China: 'সীমান্তে উত্তেজনা এড়িয়ে চলুন', পাকিস্তানের পর এবার চিনকে কড়া বার্তা ভারতের!
এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের সময়, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডং জুনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন যে সীমান্তে নতুন জটিলতা এড়ানো উচিত।

নয়া দিল্লি: শুক্রবার চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাডমিরাল ডং জনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেখানেই সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে দু’পক্ষে। চিনের বন্দর শহর কুয়িংডাওতে বসেছিল ওই বৈঠক। আলোচনায় যোগ দিতে বুধবারই সেখানে পৌঁছে যান রাজনাথ সিং। বৈঠকের শুরু থেকেই পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা, সীমান্তপারের সন্ত্রাস নিয়ে সরব হন রাজনাথ।
বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। গত ছয় বছর ধরে এই যাত্রা স্থগিত ছিল। রাজনাথ সিং তার পোস্টে জানিয়েছেন যে এখন এই যাত্রা আবার শুরু হতে চলেছে। রাজনাথ সিং-এর এই বার্তা এমন এক সময়ে এসেছে যখন ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত বিরোধ এখনও পুরোপুরি সমাধান হয়নি। তার এই বৈঠককে দুই দেশের মধ্যে সংলাপ এবং শান্তি পুনরুদ্ধারের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, চিনের কাছে চারটি প্রস্তাব রেখেছেন রাজনাথ। প্রথমত, গতবছর সেনা সরানোর পরিকল্পনা বহাল রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, সীমান্তের দুই প্রান্তে শান্তি বজায় রাখা যেন দুই দেশের ভৌগলিক সীমারেখায় কোনও পরিবর্তন না হয়। এছাড়াও দুই দেশের মতবিরোধ মেটাতে বিশেষ প্রতিনিধিদের দায়িত্ব দিতে হবে। চতুর্থত এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ‘পাকবন্ধু’ চিনকে দিল্লির তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে অপারেশন সিঁদুর হল পাক মদতপুষ্ট সীমান্ত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের নৈতিক অবস্থান।
সন্ত্রাস নিয়ে ভারতের বদলে যাওয়া অবস্থান তুলে ধরেন তিনি। বুঝিয়ে দেন, সন্ত্রাস এবং উন্নয়ন একসঙ্গে চলতে পারে না। জঙ্গিরা যেভাবে মারণাস্ত্র নিয়ে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তা রাষ্ট্রীয় মদত ছাড়া সম্ভব নয়। এরপরেই রাজনাথের হুঙ্কার, ‘যারা সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেয়, তাদের লালন পালন করে এবং সঙ্কীর্ণ স্বার্থসিদ্ধির জন্য তাদের ব্যবহার করে, তাদের কৃতকর্মের ফল ভুগতেই হবে।’
২০২০ সালে গালওয়ানে সীমান্ত ইস্যুতে ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত সংঘাত চরম আকার নিয়েছিল। এরপর টানা ৫ বছর ধরে দফায় দফায় বৈঠকের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে দুই দেশের সম্পর্ক। গালওয়ানের পর ডেমচক, দেপসাংয়ে সেনা মোতায়েন করেছিল দুই দেশ। সেই সেনা প্রত্যাহারও শুরু হয়েছে।






















