(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Kolkata News: কলকাতার পুলিশ কমিশনারের নামে 'আপত্তিকর' পোস্ট, দিল্লি থেকে গ্রেফতার যুবক
Objectionable Post Against CP: মহানগরের পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের নামে আপত্তিকর পোস্টের অভিযোগে রাজধানী দিল্লি থেকে গ্রেফতার এক যুবক। ধৃতের নাম রূপম গোস্বামী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: মহানগরের (kolkata) পুলিশ (CP) কমিশনার বিনীত গোয়েলের নামে আপত্তিকর পোস্টের (objectionable post) অভিযোগে রাজধানী দিল্লি (delhi) থেকে গ্রেফতার (arrest) এক যুবক (youth)। ধৃতের নাম রূপম গোস্বামী বলে জানিয়েছে পুলিশ। ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁকে এর মধ্যেই কলকাতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
রাজধানী থেকে গ্রেফতার...
পুলিশ সূত্রে খবর, রূপম আদতে অসমের বাসিন্দা। কলকাতা পুলিশের কমিশনার বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে অপমানজনক ও আপত্তিকর পোস্ট করার অভিযোগ রয়েছে রূপমের বিরুদ্ধে। দিল্লির দ্বারকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। দিল্লি পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইমের যৌথ অভিযানেই গ্রেফতারি, খবর সূত্রে। কিন্তু কেন এমন করলেন তিনি? এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত. গত বছরের একেবারে শেষ দিনে লালবাজারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন বিনীত গোয়েল।
ফিরে দেখা...
সাধারণ নাগরিকের পাশাপাশি সরকারি বা বিচারবিভাগীয় পদে থাকা ব্যক্তিদেরও যে নেটদুনিয়ায় নানা ধরনের হেনস্থার শিকার হতে হয়, তার নজির আগেও রয়েছে। গত জুলাইয়ে উত্তরাখণ্ডের প্রধান বিচারপতির ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার অভিযোগে বাংল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল এক যুবককে। নির্দিষ্ট করে বললে উত্তর ২৪ পরগনার মাটিয়ায় এক ছাত্রকে সে বার গ্রেফতার করেছিল নৈনিতালের পুলিশ। নৈনিতালের মল্লিতাল থানার পুলিশের ৪জনের দল আসে মাটিয়ায়। বারবার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে আপত্তিকর পোস্টের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তকে ট্রানজিট রিমান্ডে উত্তরাখণ্ড নিয়ে যায় নৈনিতাল পুলিশ। তার ঠিক আগে, গত এপ্রিলে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দফতরের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। হ্যাকাররা একের পর এক ট্যুইট করতে থাকায় বিষয়টি নজরে আসে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের প্রোফাইলের ছবি পাল্টে কার্টুন ব্যবহার করা হয়। ওই ট্যুইটার হ্যান্ডলে ৪০ লক্ষেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই ট্যুইটার হ্যান্ডল স্বাভাবিক হয়ে যায়। ঘটনার আগে প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার ট্যুইটার অ্যাকাউন্টও হ্যাক হয়েছিল। সব মিলিয়ে অনলাইনে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পদাধিকারীদের।
এবং এখানেই প্রশ্নের মুখে আমজনতার নিরাপত্তা। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থেকে পুলিশ কমিশনার, কেউ-ই যেখানে এই ধরনের সমস্যা এড়াতে পারছেন না, সেখানে সাধারণ মানুষের সুরক্ষা কতটুকু? কী ভাবে বাঁচবেন তাঁরা? চিন্তা বাড়ছেই।