Allahabad High Court: চাইলেই দ্বিতীয় বিয়ে নয় ! কোন শর্তে মান্যতা থাকতেই হবে মুসলিম ব্যক্তির ?
Quran Rule: কোরানে বলা হয়েছে যে কোনও ব্যক্তি যদি স্ত্রী-সন্তানদের লালনপালন না করে তাহলে সে দ্বিতীয়বার বিয়ের জন্য যোগ্য নয়।
নয়া দিল্লি: মুসলিম (Muslim) পুরুষদের বিয়ে নিয়ে এবার নয়া রায় দিল এলাহাবাদ আদালত (Allahabad High Court)। আদালতের তরফে রায় দেওয়ার সময় কোরানে (Quran)-এর আয়াতের উদ্ধৃতিও তুলে ধরা হয়। বলা হয়, কোনও মুসলিম পুরুষ মনে করলেই দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে পারেন না। কারণ কোরানে বলা হয়েছে যে কোনও ব্যক্তি যদি স্ত্রী-সন্তানদের লালনপালন না করেন তাহলে সে দ্বিতীয়বার বিয়ের জন্য যোগ্য নন।
আদালতের তরফে বলা হয়, কোরানে ৪ নম্বর সুরার ৩ নম্বর আয়াতের ধর্মীয় আদেশ অনুসারে বিবাহিত স্ত্রীর সঙ্গে মুসলিম পুরুষদের ন্যায়সঙ্গত আচরণই করতে হবে। একজন মুসলিম পুরুষ যদি তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের লালন-পালন করতে সক্ষম না হন, তাহলে পবিত্র কোরানের উপরোক্ত আদেশ অনুসারে সে অন্য কোনও নারীকে বিয়েও করতে পারবেন না।
প্রসঙ্গত, এলাহাবাদ হাইকোর্টের একটি মামলা আসে। সেই মামলায় বলা হয়েছিল যে এক মুসলিম ব্যক্তি তাঁর দাম্পত্য অধিকার নিয়ে ফ্যামিলি কোর্টে মামলা করেছিলেন। সেখানে এই দ্বিতীয়বার বিয়ের বিষয়টি উঠে আসে। যদিও এলাহাবাদ হাইকোর্ট এই মামলা খারিজ করে দেয়।
কী বলা হয়েছিল মামলায়?
দেখা যায়, ওই মুসলিম ব্যক্তি গোপনে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছিলেন। সে কথা তিনি তাঁর প্রথম স্ত্রীর কাছে গোপনও করেছিলেন। যদিও তিনি চেয়েছিলেন দুজনের সঙ্গেই দাম্পত্য বজায় রাখতে। তবে এর বিরোধিতা করেন তাঁর প্রথম স্ত্রী। তিনি সাফ জানান অন্য মহিলার সঙ্গে যদি তাঁর স্বামী থাকেন, সেক্ষেত্রে তিনি আর তাঁর স্বামীর জীবনে থাকবেন না। দু'পক্ষের মত শুনেই আদালত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মুসলিম ব্যক্তির আর্জি খারিজ করার। এরপর ওই ব্যক্তি এলাহাবাদ হাইকোর্টেও যান।
এলাহাবাদ হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছে, মামলাকারী ওই মুসলিম ব্যক্তি প্রথম স্ত্রীর কাছে সত্য গোপন করে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছিলেন। যা মিথ্যের সমান। পাশাপাশি এই ধরণের আচরণ তাঁর প্রথম স্ত্রীর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণেরও সমতুল্য। আদালত এ প্রসঙ্গে আরও বলেছে, যদি এই ঘটনার ক্ষেত্রে প্রথম স্ত্রী তাঁর স্বামীর সঙ্গে থাকতে না চান তাহলে তাঁকে বাধ্য করা যাবে না।