Moscow Attack: মস্কোর কনসার্ট হলে জঙ্গি হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৩
Moscow Attack: পুতিনের প্রশাসন ইউক্রেনের বিরুদ্ধে হামলায় মদত দেওয়ার অভিযোগ জানালেও জেলেনস্কি সরকার তা অস্বীকার করেছে। উলটে রাশিয়া নতুন অজুহাতে তাঁদের উপর আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়াতে চাইছে বলেই অভিযোগ।
মস্কো: মস্কোর কনসার্ট হলে (Moscow Gunmen Attack) আইএসআইএস (খোরসান) (ISIS-K (ISIL))-এর বন্দুকবাজদের হামলার ফলে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৩-এ পৌঁছেছে বলে জানা গেল রাশিয়ার প্রশাসন সূত্রে। ভয়াবহ এই হামলার (Russia terror attack) ফলে আরও ১০০ জনের বেশি জখম হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। মস্কোয় হামলার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যে ১৪৩ জনে পৌঁছেছে বলেই কোনও সরকারি বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই জানিয়েছেন রাশিয়ার পুতিন সরকার নিয়ন্ত্রিত আরটি নিউজ আউটলেটের প্রধান মার্গারিটা সাইমোয়ান। ইতিমধ্যে এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুতিনের প্রশাসন। যাদের মধ্যে চারজন সরাসরি এই হামলার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস।
ক্রেমলিন থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে মস্কো রিং রোডের নিকটবর্তী ক্রোকাস সিটি কনসার্ট হলে (Crocus City Hall) অনুষ্ঠান চলাকালীন শনিবার আচমকা হামলা চালায় একদল বন্দুকবাজ। মস্কোর উত্তর দিকে অবস্থিত বিখ্যাত ওই কনসার্ট হলে (Moscow concert hall attack) তখন অনুষ্ঠান করছিল রাশিয়ার জনপ্রিয় ব্যান্ড Piknik। ভিড়ঠাসা হলে সবাই যখন মগ্ন হয়ে অনুষ্ঠান শুনতে ব্যস্ত তখন আচমকা হলে প্রবেশ করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে আরম্ভ করে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজরা। এর ফলে নিমেষে বদলে যায় চারপাশের পরিবেশ। আতঙ্কে হলের মধ্যে থেকে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে থাকেন অনুষ্ঠানে হাজির থাকা মানুষরা। হলের নিরাপত্তারক্ষী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ পোশাক পরে এবং স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিয়ে এসে দু থেকে পাঁচজন আততায়ী প্রবেশপথে রক্ষীদের উপর গুলি চালাতে শুরু করে। তারপর হলে প্রবেশ করে দর্শকদের লক্ষ্য করেও এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। আচমকা এই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে প্রথমে হকচকিয়ে গেছিলেন হলে থাকা দর্শকরা। প্রাণ বাঁচাতে হলের মাটিতেও শুয়ে পড়তে দেখা যায় অনেক দর্শককে। জানা গেছে, একটানা ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে গুলি চালায় আততায়ীরা। আর তাতেই ঘটে যায় ভয়ানক এই ঘটনা। আততায়ীদের হামলার ফলে হলের অনেকাংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পাশাপাশি মৃতের সংখ্যাও ক্রমাগত বাড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
রাশিয়ার তরফে এই হামলার পিছনে ইউক্রেনের (Ukraine) মদত রয়েছে বলেও অভিযোগ করা হলেও জেলেনস্কির প্রশাসন তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই এই হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে আইএসআইএস (খোরসান)।