(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Bangladesh News: প্রাণভয়ে ছুটছে হরিণশাবক, ধাওয়া করেছে উন্মত্ত যুবকের দল, প্রকাশ্যে বাংলাদেশের নির্মম ছবি
Bangladesh Violence: বাংলাদেশের উন্মত্ত জনতার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না নিরীহ পশুও। তাকে অতিষ্ঠ করে তুলছে বিক্ষোভকারীদের একাংশ। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া দেখার পর আঁতকে উঠেছেন অনেকে।
Bangladesh News: ছোট্ট এক হরিণ, খাঁচার ভিতর প্রাণভয়ে এদিক-ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছে। আর তার পিছনে ধাওয়া করেছে একদল যুবক। একদিক থেকে নিরীহ হরিণটিকে তাড়া করে অন্যদিকে নিয়ে যাচ্ছে তারা। প্রাণ বাঁচিয়ে পালাতে মরিয়া ওই হরিণটি। শুনে শিউরে উঠছেন? এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছে বাংলাদেশ। সবচেয়ে আশ্চর্য বিষয় হল এই গোটা ঘটনার ভিডিও করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়েছে। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, বাংলাদেশের উন্মত্ত জনতার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না নিরীহ পশুও। তাকে অতিষ্ঠ করে তুলছে বিক্ষোভকারীদের একাংশ। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া দেখার পর আঁতকে উঠেছেন অনেকে। গতকাল শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশত্যাগের পর থেকে বাংলাদেশে যা যা ঘটছে তা দেখে হতবাক গোটা বিশ্ব। একটার পর একটা এমন ঘটনা সামনে আসছে যা ছাপিয়ে যাচ্ছে পূর্ববর্তী অমানবিক, নির্মম, নির্দয় মুহূর্তকে। আন্দোলনকারীরা বর্বরতা দেখা আতঙ্কিত সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষ। অস্ফুটে প্রায় সকলেই বলছেন, 'এমনও হয়, এমনটাও সম্ভব'। জানা গিয়েছে, গণভবনের ভিতরেই ঘটেছে এই নির্মম ঘটনা।
ढाका जू के अंदर घुसे दरिंदे जिहादी तथा कथित प्रदर्शनकारी
— 🇮🇳Jitendra pratap singh🇮🇳 (@jpsin1) August 6, 2024
अब आप पहचानिए जानवर कौन है#AllEyesonBangladeshHindus #SaveHindusinBangladesh #SaveBangladesiHindus pic.twitter.com/yQSEaIYMaN
সোমবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন শেখ হাসিনা। বোনকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন তিনি। এরপর সেনাশাসন জারি হয় বাংলাদেশে। সেনপ্রধান অবশ্য আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আশ্বাস যে বিন্দুমাত্র কাজে আসেনি তার নিদর্শন গতকাল থেকেই পাওয়া গিয়েছে। বাংলাদেশের ভয়াবহ ছবি দেখে চমকে উঠেছে গোটা দুনিয়া। গতকাল গণভবনের দখল নেয় হামলাকীরা। অবাধে চলে লুঠপাট। ভাঙা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল মিউজিয়ামে। হামলা চালানো হয় ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারেও।
রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে হামলার রেশ। ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সেনাশাসন রয়েছে বাংলাদেশে। অথচ তার মধ্যেই গতকাল থেকে এখনও পর্যন্ত ১৫০-র বেশি মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। পুড়েছে অসংখ্য ঘরবাড়ি, হোটেল, দোকান। চলছে ভাঙচুর, লুঠতরাজ। খুন হয়েছেন আওয়ামি লিগের সদস্যরা। ভাঙা হয়েছে শেরপুর জেল। উধাও হয়েছেন বন্দিদের অনেকেই। নৈরাজ্য চলছে বাংলাদেশজুড়ে। হামলা হয়েছে হাসপাতালেও।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশের সদ্য প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী গ্রেফতার
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।