Fake Voter Card: বাংলাদেশের নাগরিক কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ভোটার, ইমিগ্রেশনের সময় ধৃত ১০
Illegal Immigrant: ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের পাঠানো চিঠিতে স্বাধীন হালদার নামে বাংলাদেশের এক নাগরিকের নাম রয়েছে। বৈধ পাসপোর্ট নিয়ে, সিঙ্গাপুর থেকে তিনি এসেছিলেন কলকাতায়।

কলকাতা: বাংলাদেশের নাগরিক কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ভোটার! ইমিগ্রেশন চেকের সময় ফের ধরা পড়ল ১০ জনের নাম। ওই ১০ জনের তালিকা পাঠানো হল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসে। তালিকা পাঠালো ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরকে ব্যবস্থা নিতে বলল ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস।
তাঁরা বাংলাদেশের নাগরিক। অথচ তাঁদের কাছে রয়েছে আধার, ভোটার, প্য়ান কার্ডের মতো ভারতীয় পরিচয়পত্র। শুধু তাই নয়, এদেশে এসে SC সার্টিফিকেট কিম্বা আয়ুষ্মান ভারতের মতো কার্ড পর্যন্ত বানিয়ে ফেলেছেন তাঁরা! ইমিগ্রেশন চেকের সময় ধরা পড়া এমনই ২১ জনের নামের তালিকা রাজ্য়ের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককের অফিসে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনস্থ ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস, সংক্ষেপে FRRO। সূত্রের খবর, এদের প্রত্য়েককে গ্রেফতার করে পাঠানো হবে বাংলাদেশে।
যেমন, ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিসের পাঠানো চিঠিতে স্বাধীন হালদার নামে বাংলাদেশের এক নাগরিকের নাম রয়েছে। বৈধ পাসপোর্ট নিয়ে, সিঙ্গাপুর থেকে তিনি এসেছিলেন কলকাতায়। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, তাঁর কাছেই রয়েছে ভারতের একাধিক পরিচয়পত্র। রয়েছে আধার, ভোটার, প্য়ান কার্ড। আরেকজন সুজিত কুমার দাস। ভারতীয় পাসপোর্ট নিয়ে, সপরিবারে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশে। কিন্তু, কলকাতা বিমানবন্দরে, ইমিগ্রেশনের সময় দেখা যায়, তাঁর কাছে রয়েছে বাংলাদেশের পাসপোর্টও। পাশাপাশি, রয়েছে আধার, ভোটার, প্য়ান, রেশন কার্ড এমনকী জন্মের শংসাপত্রও! শুধু তাই নয়, তাঁর কাছে রয়েছে SC বা তফশিলি সার্টিফিকেট এবং আয়ুষ্মান ভারতের কার্ডও!
তাঁরই পরিবারের একজন, নাম অনিমারানি ভৌমিক। তাঁর কাছেও বাংলাদেশের পাসপোর্টের পাশাপাশি, মিলেছে ভারতীয় পাসপোর্ট, আধার, রেশন, আয়ুষ্মান ভারতের কার্ড। মুখ্য় নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে এমনই একাধিক নামের তালিকা, তাঁদের কাছে থাকা এ দেশের পরিচয়পত্র সম্পর্কে বিশদে জানিয়েছে ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস।
এমনই আরেকজনের নাম অঞ্জনা রায়। বৈধ বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে কলকাতা থেকে তাঁদের দেশে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ইমিগ্রেশনের সময় ধরা পড়ে, তাঁর কাছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট ছাড়াও রয়েছে এদেশের ভোটার, প্য়ান, আধার কার্ড। তাঁর পরিবারের আরও ২ জনের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে একই ব্য়াপার। একদিকে যেমন তাঁদের কাছে রয়েছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট, তেমনই এদেশের ভোটার কার্ড।
আরও এক পরিবার। দিলীপ পাল ও তাঁর স্ত্রী শিলা পাল ও মেয়ে স্বর্ণ পাল। ৩ জনই ইমিগ্রেশনের সময় ধরা পড়েন। বৈধ বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে ওদেশে যাচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু দেখা যায় প্রত্য়েকের কাছেই রয়েছে আধার, প্য়ান, নয়তো ভারতের ভোটার কার্ড। চিঠিতে উৎপলচন্দ্র কর্মকার বলে একজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যিনি মেডিক্য়াল ভিসা নিয়েে এদেশে এসেছিলেন। এরপর অপু রায় নাম নিয়ে তৈরি করে ফেলেছেন ভোটার কার্ড। এখানেই শেষ নয়, বাংলাদেশের নাগরিক, এদেশে এসে সরকরি পরীক্ষাতেও বসেছেন, সেই নজিরও রয়েছে FRRO-র চিঠিতে।
প্রশ্ন হল, এরকম আরও কত বাংলাদেশি অবৈধভাবে ভারতে রয়েছে? কাদের মদতে তারা ভারতে ঢুকছে? কারা তাদের আশ্রয় দিচ্ছে? এর পিছনে কী কারণ? উঠছে অনেক প্রশ্ন। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, দেশের ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার কথাও জানিয়েছে ফরেনার্স রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস।






















