US on BBC Raid: 'বিশ্বজুড়ে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের পক্ষে', BBC-তে IT তল্লাশি নিয়ে প্রতিক্রিয়া আমেরিকার
Ned Price: মার্কিন প্রশাসনের মুখপাত্র নেড প্রাইস সাংবাদিক সম্মেলন করে এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
নয়াদিল্লি: দিল্লি ও মুম্বইয়ের বিবিসি অফিসে (BBC Office) রাতভর তল্লাশি চালিয়েছে আয়কর দফতর। তা নিয়ে দেশের রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তুমুল রাজনৈতিক তরজা।
কী বলেছে মার্কিন প্রশাসন:
এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানালো মার্কিন প্রশাসন। মার্কিন প্রশাসনের মুখপাত্র নেড প্রাইস- (Ned Price) সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, 'ভারতের কর কর্তৃপক্ষের তরফে বিবিসি-র অফিসে যে তল্লাশি চালানো হয়েছে তা আমরা জানি।' এই বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি। তবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার স্বপক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। নেড প্রাইস বলেন, 'সারা বিশ্বে মুক্ত সংবাদমাধ্য়মের গুরুত্বকে সমর্থন করি আমরা। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, মানবাধিকার সারা বিশ্বে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে নিজেদের ভূমিকা রাখে। এগুলি আমেরিকার গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করেছে। এগুলি ভারতের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করেছে।'
আয়কর মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতে বিবিসির ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের নথি এবং এই সংস্থার সঙ্গে যুক্তদের নথি দেখা হচ্ছে।
NBDA-এর প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
এই ঘটনার নিন্দা করে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে NBDA. সেখানে NBDA-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কোনও সংগঠন বা সংস্থাই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কিন্তু, কোনও সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা বা সংবাদ সংস্থা ও সাংবাদিকদের ভয় দেখানোর ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে NBDA-এর তরফে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই ধরনের পদক্ষেপ ভারতের সংবিধানের দেওয়া মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ। এমন ঘটনা গণতন্ত্রের প্রক্রিয়াকেও ব্যাহত করে বলে জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এডিটর্স গিল্ড। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে ব্রিটেন সরকার।
মুখ খুলেছেন অমিত শাহ:
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, 'হাজারো ষড়যন্ত্র করেও সত্যকে চাপা রাখা যায় না। ওরা তো মোদীর পিছনে ২০০২ সাল থেকে লেগে আছে। কিন্তু প্রতি বারই মোদীজি আরও শক্তিশালী, আরও জনপ্রিয় হয়ে বেরিয়ে এসেছেন।
সম্প্রতি BBC-এর একটি তথ্যচিত্র নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। সেটির নাম 'India- The Modi Question'. নরেন্দ্র মোদি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন গোধরা এক্সপ্রেসে অগ্নিকাণ্ড হয়। তারপরেই গুজরাতে ভয়াবহ হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময় তৎকালীন রাজ্য সরকারের ভূমিকা এবং আরও অন্যান্য দিক তুলে আনা হয়েছে এই তথ্যচিত্রে। এটি ঘিরেই শুরু হয় তীব্র তরজা। তারপরেই এমন ঘটনা।