কোজাগরী সন্ধ্যায় কাশীপুরের বৈষ্ণবীবালা ঘাটে গঙ্গারতি দিলীপ ঘোষের
যখন যা ইচ্ছে হচ্ছে করছে! তা সত্ত্বেও বারবার বলা হচ্ছে, কিছুই নাকি করতে দেওয়া হচ্ছে না! কটাক্ষ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের
কলকাতা: দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো পর এবার গঙ্গারতি গেরুয়া শিবিরের!
কোজাগরী পূর্ণিমার সন্ধ্যায় কাশীপুরের বৈষ্ণবীবালা ঘাটে গঙ্গারতি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে ছিলেন, দলীয় নেতা সায়ন্তন বসু, কল্যাণ চৌবে, রিমঝিম মিত্র সহ বহু বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।
যদিও গঙ্গারতির সঙ্গে রাজনীতিকে মেলাতে নারাজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি। দিলীপ ঘোষ বলেন, গঙ্গা বাঁচাতে কেন্দ্রের নমামি গঙ্গে প্রকল্পের জন্য এই প্রথম নয় এর আগেও বিজেপির তরফে গঙ্গারতি করা হয়েছে। রাজ্য বিজেপির সাধারন সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচী নয়। দুর্গাপুজো করলে লক্ষ্মীপুজো করতে হয়!
কিন্তু দিন কয়েক আগে করোনা কাটিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরা বিজেপি সাংসদের চোখের সামনেই এদিন ছিল বিধিভঙ্গের ছবি। ছিল না সোশাল ডিস্ট্যান্সিং এর বালাই। এমনকী অনেকেরই ছিল না মাস্ক। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতির সাফাই, অনুষ্ঠান হলে মানুষ তো আসবেই!
এদিনের গঙ্গারতি নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এসব বাংলার সংস্কৃতি বিরোধী। মমতাকে হেউ করার চেষ্টা। যখন যা ইচ্ছে হচ্ছে করছে! অথচ বারবার অভিযোগ করা হচ্ছে, বাংলায় গণতন্ত্র নেই। কিছুই নাকি করতে দেওয়া হচ্ছে না!
গঙ্গারতির আগে এদিন কাশীপুরের বৈষ্ণবীবালা ঘাটে পুজো করেন দিলীপ ঘোষ। শোনেন ভজনও।