‘গাঁধীজির অহিংসার পথে এগোনো উচিত’ রাজ্যে সঙ্কল্প যাত্রা সূচনা করে দিলীপ, ‘বিজেপি মানেই নাটক’, কটাক্ষ তৃণমূলের
মহাত্মা গাঁধীর জন্মের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষ্যে দেশজুড়ে গাঁধী সংকল্প যাত্রার কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি।
পশ্চিম মেদিনীপুর: মহাত্মা গাঁধীকে সামনে রেখে রাজ্য জুড়ে নেমে পড়ল গেরুয়া শিবির। বুধবার, নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে মেদিনীপুরে ‘গাঁধী সংকল্প যাত্রা’ শুরু করলেন দিলীপ ঘোষ। মেদিনীপুর শহরে পদযাত্রা, পথসভায় অংশ নেন তিনি। জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে বিজেপির যাত্রা। মহাত্মা গাঁধীর জন্মের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষ্যে দেশজুড়ে গাঁধী সংকল্প যাত্রার কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। লোকসভা কেন্দ্র পিছু ১৫০ কিলোমিটার অতিক্রম করবে বিজেপির যাত্রা। শালবনির কোন্নগর মন্দিরে পুজো দিয়ে বেরিয়ে পথসভায় অংশ নেন বিজেপি সাংসদ। এরপর মেদিনীপুর শহরে হয় পদযাত্রা। গাঁধীর নামাঙ্কিত পদযাত্রায় ছিল মহাত্মার কাট আউট দেওয়া ট্যাবলো। মেদিনীপুরের গাঁধী মোড়ে গাঁধীজির ছবিতে শ্রদ্ধা জানান দিলীপ। বলেন, সাধারণ মানুষকে নিয়ে যাত্রা সফল করব। মানুষ খুন হয়ে যাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে আমাদের মনে হয় গাঁধীজির অহিংসার পথে এগোনো উচিত। খড়গপুর, বেলদাতেও এই ‘গাঁধী সংকল্প যাত্রা’ হবে। দক্ষিণবঙ্গের মতো উত্তরের কোচবিহারেও এদিন শুরু হয় বিজেপির গাঁধী সংকল্প যাত্রা। কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক কোচবিহার উত্তর বিধানসভার নীলকুঠিহাট থেকে বুধবার পদযাত্রা শুরু করেন। নিশীথ বলেন, গাঁধীজির আদর্শে আমরা অনুপ্রাণিত। তৃণমূল অত্যাচার করছে, শান্তি ফেরাতে আমরা পথে নেমেছি। আমাদের কিছু পঞ্চায়েত সদস্যকে তৃণমূল জোর করে ভয় দেখিয়ে নিয়ে যায়। একুশের আগে সব ফিরে আসবে। বিজেপির এই কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, বিজেপি মানে নাটক, গিমিক। যারা গাঁধীর হত্যাকারী তারাই আবার শান্তির নামে পদযাত্রা করছে। মানুষ এদের বুঝে গেছে। কোচবিহার জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় কটাক্ষের সুরে বলেন, সঙ্কল্প যাত্রা নামে ফ্লপ শো করছে। মানুষ ওদের বুঝে গেছে। মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে আছে, আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যদের ওরাই ভয় দেখায়। এদিন ঘাটালে গাঁধী সংকল্প যাত্রায় যোগ দেন ভারতী ঘোষ। পুরুলিয়ায় কর্মসূচিতে ছিলেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম রাজ্য সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন জেলায় জেলায় চলে বিজেপির সংকল্প যাত্রা। ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি।