Dilip on Pegasus Software: "মমতা ফোন ট্যাপ করেন বলে তৃণমূল নেতারাই নিজেদের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ করেন", বিস্ফোরক অভিযোগ দিলীপের
পেগাসাস ইস্যুতে সরগরম গোটা দেশ। আজ ২১ জুলাইয়ের ভাষণে এই ইস্যুতে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মমতাকে পাল্টা তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ।
কলকাতা : "কাউকে ফোন করতে পারি না, ফোন ট্যাপ হয়। আমার ফোন ট্যাপ হচ্ছে, রেকর্ড করা হচ্ছে।" ২১ জুলাই উপলক্ষে ভাষণ দেওয়ার সময় আজ এই ভাষাতেই কেন্দ্রকে একহাত নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই ইস্যুতে পাল্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তিনি বলেন, "হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করা ছাড়া তৃণমূল নেতারাই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করেন না। কারণ, তাঁরা জানেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের ফোন ট্যাপ করছেন। উনি এবং ওঁর সরকার পেগাসাস সফ্টওয়্যার ব্যবহার করেন। ফোন ট্যাপ করা আমাদের কাজ নয়। কংগ্রেসের কাজ। যেখান থেকে মমতা এসেছেন।"
প্রসঙ্গ, পেগাসাস স্পাইওয়্যার বিতর্কে তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। এরই মধ্যে বিস্ফোরক দাবি করেছে 'দ্য ওয়্যার'। তাদের তরফে বলা হয়েছে, হ্যাক করা হয়েছিল তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের ফোন। এর পাশাপাশি রাহুল গাঁধীর দুটি ফোন নম্বরকেও টার্গেট করা হয়েছিল বলে খবর। টার্গেট ছিল রাহুলের কিছু সহযোগী, বন্ধুর ফোন নম্বরও। শুধু তাই নয়, ইজারায়েলি স্পাইওয়্যারের টার্গেট তালিকায় নাম কেন্দ্রের নতুন তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণেরও। এছাড়াও আরও এক কেন্দ্রীয়মন্ত্রী পেগাসাস টার্গেটে ছিলেন বলে দাবি 'দ্য ওয়্যার'-এর। তিনি হলেন প্রহ্লাদ প্যাটেল।
এর পরই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয় একাধিক বিরোধী দল। আজ ২১ জুলাইয়ের মঞ্চকেও এই ইস্যুর প্রতিবাদে সরব হওয়ার জন্য বেছে নেন মমতা। তিনি বলেন, পেগাসাসের নামে আমার-আপনার ফোন ট্যাপ হচ্ছে। আপনি বাড়িতে কখন ঘুমাচ্ছেন সেটাও ফোনে দেখা যাবে। কাউকে ফোন করতে পারি না, ফোন ট্যাপ হয়। আমার ফোন ট্যাপ হচ্ছে, রেকর্ড করা হচ্ছে। আমার ফোনের ক্যামেরা ঢেকে দিতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংস করছে বিজেপি। গণতান্ত্রিক অধিকার শেষ করে দিচ্ছে ওরা। মানুষকে হেনস্থা করছে। ওরা একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছে। আমি চিদাম্বরমজির সঙ্গে ফোনে কথা পর্যন্ত বলতে পারি না। কারণ, আমার ফোন ট্যাপ হয়ে যাবে। চাইলেও শরদ পাওয়ারজির সঙ্গে কথা বলতে পারি না। দিল্লি বা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গেও কথা বলতে পারি না। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলতে পারি না। কেন ? গরিবদের টাকা দেওয়ার পরিবর্তে, গুপ্তচরবৃত্তির জন্য টাকা খরচ করছেন !