BJP Vote Strategy : কয়েক হাজার কোটি টাকার চুক্তি, বিশেষ নজর বাংলায়, ফের ভোট কুশলী সংস্থার সাহায্য নিচ্ছে বিজেপি
Exclusive : ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতায় আসার নেপথ্যে অন্যতম বড় ভূমিকা ছিল ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের।
শিবাশিস মৌলিক, কলকাতা : চলতি বছরে কর্ণাটক-সহ একাধিক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Election)। বাংলায় পঞ্চায়েত ভোট (West Bengal Panchayat Election)। তবে বিজেপির পাখির চোখ ২০২৪-এর লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election) দিকে। সূত্রের খবর, সেই লক্ষ্যেই, এবার ভোট কুশলী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করতে চলেছে বিজেপি! সূত্রের খবর, বিশেষ নজর দেওয়া হবে বাংলা-সহ পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের দিকে। বিজেপি সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) কামব্যাক সুনিশ্চিত করতে দেশ জুড়ে রাজনৈতিক সংস্থাকে দায়িত্ব দিচ্ছে বিজেপি। সূত্রের আরও দাবি, কয়েক হাজার কোটি টাকায় হচ্ছে এই চুক্তি (Several Crores Agrrement)। বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে বাংলাতেও (West Bengal)।
২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতায় আসার নেপথ্যে অন্যতম বড় ভূমিকা ছিল ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের (Vote Strategist Prasant Kishore)। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি ১৮টি আসন জয়ের পরে সংগঠনের খোলনলচে বদলে ফেলতে পিকে-র সংস্থা আইপ্যাকের (I-PAC) সাহায্য নেয় তৃণমূল। যার সুফল আসে ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে। এরই মধ্যে শুক্রবার রাজ্য বিজেপির নতুন অফিসের উদ্বোধন। সেখানেই কি জায়গা করে দেওয়া হবে ভোটের রণকৌশল নির্ধারণকারী সংস্থাকে ?
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, 'এর আগেও ১৯ এর নির্বাচনে বা একুশের নির্বাচনে রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণকারী সংস্থা আমাদের সঙ্গে কাজ করেছে। তৃণমূলের অনেক আগে থেকেই আমরা রাজনৈতিক কৌশলী সংস্থার সঙ্গে কাজ করি। এতে বঙ্গ বিজেপির হাতে কিছু নেই কেন্দ্রীয়ভাবে যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তাই মেনে নেওয়া হবে। আমাদের দল তো তৃণমূলের মত তোলা নির্ভর নয়, আমরা বিজ্ঞান নির্ভর দল চালাই। তৃণমূলের ক্ষেত্রে কৌশল নির্ধারণকারী সংস্থা সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। আমাদের পরামর্শ দেবে সিদ্ধান্তটা আমরাই নেব'।
এই প্রেক্ষাপটে ২০২৪-এর বিজেপির রণকৌশল নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বাংলার শাসকদল। তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, 'সুকান্ত মজুমদার শুভেন্দু অধিকারী নৈবিদ্যের নাড়ু হয়ে বসে থাকবেন। যোগীর রাজ্যে যোগীর ক্ষমতা ছিল তিনি আটকেছিলেন। অমিত শাহ চাইতেও সংস্থার লোক পাঠাতে পারেননি। এদের দম নেই তাই এখানে ওরাই এসে কাজ করবে। শুধু বিধানসভা ভোটেই চুক্তির অর্থ ছিল ৭০০ কোটি।'
আরও পড়ুন- নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার হুগলির যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার