চিনের সঙ্গে সংঘর্ষের কয়েকঘণ্টার মধ্যেই 'ব্রহ্মোস-এ' ক্ষেপণাস্ত্রকে অপারেশনাল ক্লিয়ারেন্স
লাদাখ সীমান্তে এই সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে ব্রহ্মোসকে সামরিক অভিযানে অংশ নেওয়ার সবুজ সঙ্কেত দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে...
নয়াদিল্লি: চিনের সঙ্গে সীমান্তে সংঘর্ষের আবহেই যুদ্ধবিমান থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্রহ্মোস ক্রুজ মিসাইলকে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য সবুজ সঙ্কেত দিল ভারত। ভারতীয় বাহিনী সূত্রে খবর, গতকাল রাতে লাদাখ সীমান্তে চিনা বাহিনীর হামলায় এক অফিসারের মৃত্যু হয়। গালওয়ানে ওই হামলায় নিহত হয়েছেন আরও ২ সেনা জওয়ান। পাল্টা জবাবে মৃত্যু হয়েছে চিনা সেনারও। সূত্রের দাবি, পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র এক লেফটেন্যান্ট জেনারেল সহ চার চিনা সেনাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। ১৯৬৭ সালের পর ফের ভারত-চিন সংঘর্ষ হয়। ৫৩ বছরে প্রথমবার চিনা হামলায় নিহত ভারতীয় সেনা। ১৯৬২ সালে প্রথম ভারত-চিন যুদ্ধ হয়। ১৯৬৭ সালে নাথুলা পাসে সংঘর্ষে জড়ায় দুই দেশ। লাদাখ সীমান্তে এই সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে ব্রহ্মোসকে সামরিক অভিযানে অংশ নেওয়ার সবুজ সঙ্কেত দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, ব্রহ্মোসকে ফ্লিট ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। এই অনুমোদনের ফলে কমব্যাট মিশনে বা সম্মুখসমরে এই ক্ষেপণাস্ত্রকে ব্যবহার করতে পারবে ভারতীয় বায়ুসেনার স্কোয়াড্রন। বাহিনীতে কোনও নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের অন্তর্ভুক্তি হওয়ার পর তাকে সরকারিভাবে ব্যবহার করার জন্য একটি অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এটাই শেষ ধাপ। এখন সেই অনুমোদন পেল "ব্রহ্মোস-এ" (বায়ুসেনার জন্য নির্মীত) ক্ষেপণাস্ত্রটি। অর্থাৎ, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি এখন যুদ্ধে সম্পূর্ণ প্রস্তুত হল। সামরিক পরিভাষায় বলা হয় অপারেশনাল। এক কথায়, এখন প্রয়োজন অনুযায়ী, সমরে এই অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে ভারতীয় বায়ুসেনা। গত জানুয়ারি মাসে তাঞ্জাভুর বায়ুসেনা ঘাঁটিতে রাখা সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানে এই ক্ষেপণাস্ত্রকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। "ব্রহ্মোস-এ" হল ৩০০ কিলোমিটার পাল্লার সুপারসনিক ল্যান্ড অ্যাটাক ক্রুজ মিসাইল।