Operation Sindoor 2.0 : ৭২টির বেশি জঙ্গি লঞ্চপ্যাড "ঘন জঙ্গলে" সরিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান, দ্বিতীয় 'অপারেশন সিঁদুরের' জন্য প্রস্তুত বাহিনী : BSF
India-Pakistan Relations: গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে বৈসরণ উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের প্রাণ চলে যায়। তার জবাবে সামরিক অভিযান শুরু করে ভারত।

জম্মু : অপারেশন সিঁদুরের পর ৭২টির বেশি জঙ্গি লঞ্চপ্যাড "ঘন জঙ্গলে" সরিয়ে নিয়ে গেছে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতিতে সরকার যদি সীমান্তে অভিযান পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে বাহিনী শত্রুর উপর জোরাল ক্ষতি করতে প্রস্তুত বলে জানিয়ে দিলেন বিএসএফের এক সিনিয়র আধিকারিক। যদিও ৭-১০ মে সংঘাতের পর সামরিক অভিযান স্থগিত রাখার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাকে সম্মান জানাচ্ছে বাহিনী। BSF-এর DIG বিক্রম কানওয়ার বলছেন, "অপারেশন সিঁদুরের সময় সীমান্তে অনেক জঙ্গি লঞ্চপ্যাড ধ্বংস করে দিয়েছে বিএসএফ। এরপর পাকিস্তান সরকার এই ধরনের লঞ্চপ্যাডগুলি গভীর এলাকায় স্থানান্তরিত করে নিয়ে গেছে। প্রায় ১২টি লঞ্চপ্যাড শিয়ালকোট এবং জাফরওয়ালের গভীর এলাকা থেকে কাজ করছে, যেগুলো ঠিক সীমান্ত এলাকা নয়। একইভাবে, সীমান্ত থেকে দূরে অন্যান্য গভীর অঞ্চলেও ৬০টি লঞ্চপ্যাড কাজ করছে।"
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে বৈসরণ উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের প্রাণ চলে যায়। তার জবাবে সামরিক অভিযান শুরু করে ভারত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালায়। সেই 'অপারেশন সিঁদুর'-সহ ২০২৫-এ বাহিনী বিভিন্ন সাফল্য তুলে ধরতে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন বিক্রম কানওয়ার, বিএসএফের আইজি, জম্মু ফ্রন্টিয়ার, শশাঙ্ক আনন্দ ও ডিআইজি কুলবন্ত রাই শর্মা। সেখানেই আধিকারিকরা জানান, এই লঞ্চপ্যাডগুলির সংখ্যা এবং সেখানে থাকা জঙ্গিদের উপস্থিতির সংখ্যা প্রতি নিয়ত পাল্টাতে থাকে। ডিআইজি কানওয়ার বলেন, "ওরা ওখানে স্থায়ীভাবে থাকে না। এই লঞ্চপ্যাডগুলি সাধারণত সক্রিয় থাকে যখন জঙ্গিদের (ভারতে) ঠেলে দিতে হয়... তাদের দুই বা তিনটির বেশি দলে রাখা হয় না।"
তাঁর সংযোজন, "আগে, ওদের এলাকা চিহ্নিত করা হত, যেখানে জইশ-ই-মহম্মদের সদস্যরা নিচের দিকে সক্রিয় থাকত এবং লস্কর-ই-তৈবার সদস্যরা উপরের দিকে সক্রিয় থাকত। কিন্তু, অপারেশন সিঁদুরের পর, ওরা মিশ্র গ্রুপ তৈরি করেছে। যারা চায় তার এই মিশ্র গ্রুপে প্রশিক্ষণ নিতে পারে।"
আইজি আনন্দ বলেন, "সরকার যদি অপারেশন সিঁদুর পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে সরকারের নির্দেশ মানতে প্রস্তুত বিএসএফ। যদি আমরা ১৯৬৫, ১৯৭১, ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধ, অথবা অপারেশন সিঁদুরের কথা বলি, তাহলে বিএসএফের সকল ধরনের যুদ্ধের ভাল অভিজ্ঞতা আছে, তা সে প্রচলিত যুদ্ধ হোক বা হাইব্রিড যুদ্ধ। আমরা প্রস্তুত। যদি আমরা সুযোগ পাই, তাহলে মে মাসে আমরা যা করেছি তার চেয়েও বেশি ক্ষতি করতে সক্ষম। সরকার যে নীতিই নির্ধারণ করুক না কেন, বিএসএফ তাতে তার ভূমিকা পালন করবে।"






















