চিনা দ্রব্য বয়কটের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রীদের সাহায্য চাইল ব্যবসায়ী সংগঠন সিএআইটি, অনুরোধ বিসিসিআই, আইওএ-কেও
'ভারতীয় সমান - হামারা অভিমান' নামে চিনা বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে সিএআইটি। বাণিজ্য মন্ত্রী পীয়ূষ গয়ালকে অনুরোধ জানিয়েছে, যাতে আমাজন ফ্লিপকার্টের মতো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলিকে প্রতিটি দ্রব্যের উৎপাদনকারী দেশের নাম উল্লেখ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
নয়াদিল্লি: লাদাখে ভারতীয় সেনার উপর চিনা আগ্রাসনের ঘটনার পর থেকেই চিনা দ্রব্য বয়কটের ডাক উঠেছে দেশজুড়ে। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, চিনা বিজ্ঞাপনে সেলিব্রিটিদের মুখ না দেখানোর আর্জি জানিয়েছে ব্যবসায়ী সংগঠন সিএআইটি। আবেদন জানানো হয় আমির খান, ক্যাটরিনা কাইফ, দীপিকা পাড়ুকোনদের। শুধু তাই নয়, চিনা দ্রব্য বয়কট করার প্রচারে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরও সাহায্য চেয়েছে ওই সংস্থা। এই সংস্থা সারা ভারতের প্রায় ৭ কোটি ব্যবসায়ী ও ৪০ হাজার ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিত্ব করে। শুধু অভিনেতা-অভিনেত্রী নয়, CAIT-র তরফে অনুরোধ জানানো হয়েছে ভারতের ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা বিসিসিআইকেও। তারা যেন আইপিএলের স্পনসর হিসেবে চিনা কোম্পানি ভিভোর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে। সেই সঙ্গে ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কাছে তাদের অনুরোধ, তারাও যেন চিনা সংস্থাগুলির সঙ্গে চুক্তি জারি না রাখে! 'ভারতীয় সমান - হামারা অভিমান' নামে চিনা বিরোধী প্রচার চালাচ্ছে সিএআইটি। বাণিজ্য মন্ত্রী পীয়ূষ গয়ালকে অনুরোধ জানিয়েছে, যাতে আমাজন ফ্লিপকার্টের মতো ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মগুলিকে প্রতিটি দ্রব্যের উৎপাদনকারী দেশের নাম উল্লেখ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সম্প্রতি দেশের ২৩৫ টি জেলার ৩২ হাজার লোকের উপর এক সমীক্ষা করা হয়। তাতে জানা যায়, ৮৭ শতাংশ উত্তরদাতা বলেন, তাঁরা চিনা দ্রব্য বয়কট করতে চান। উত্তরদাতাদের ৯৭ শতাংশ বলে তারা জাওমি, অপ্পো, ভিভোর মতো ব্র্যান্ড কিনবেন না। ২০২১ এর শেষাশেষি চিন থেকে আমদানীকৃত পণ্যের পরিমাণ অনেকটাই কমিয়ে আনতে উদ্যোগী সিএআইটি। তবে প্রথমেই সব নয়, ধাপে ধাপে কমানো হবে চিনা দ্রব্যের ব্যবহার। প্রথমে সাড়ে চারশটি দ্রব্যকে বয়কটের তালিকায় রাখা হয়েছে, যেগুলির বিকল্প ভারতীয় বাজারে সহজলভ্য। এর মধ্যে অবশ্য মোবাইল ফোন, বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম নেই।