১০০ শতাংশ লকডাউন কার্যকর করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর সওয়াল করে বিতর্কে রাজ্যপাল
শহরতলিতে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। রাস্তায় চলছে মাইকিং।
কলকাতা: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত! হালফিলের পশ্চিমবঙ্গের এটা পরিচিত ছবি। অতীতে শিক্ষা, আইন এবং একে অপরের এক্তিয়ার নিয়ে বারংবার দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে রাজভবন ও নবান্ন। জগদীপ ধনকড়ের মন্তব্য, তারপর সরকার কিংবা শাসক দল তৃণমূলের তরফে তার পাল্টা প্রতিক্রিয়া, করোনা সঙ্কটেও ছবিটা পাল্টাল না। এবার রাজ্যপালের ক্ষোভের নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দফতর। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং পুলিশ রাজ্যে ১০০ শতাংশ লকডাউন কার্যকর করতে ব্যর্থ বলে অভিমত ধনকড়ের। ধর্মীয় জমায়েত বন্ধ করা এবং সামাজিক দূরত্ব তৈরি করতে প্রশাসন ব্যর্থ, মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে ট্যুইট রাজ্যপালের।
তাঁর অভিযোগ, “করোনা মোকাবিলায় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে লকডাউন কার্যকর করতে হবে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন সেই কাজে ব্যর্থ। লকডাউনকে সফল করতে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা প্রয়োজন।”
রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পর স্বাভাবিক ভাবেই রাজনৈতিক মহলে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। প্রশাসনের তরফেও রাজ্যপালের মন্তব্যের পাল্টা বক্তব্য উঠে আসছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক যেমন জানিয়েছেন, বিগত সময়ে অন্তত ১ হাজার ১৭৪টি বাজার এক স্থান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এখনও রাজ্যের ২৫৬টি বাজারে লোক সমাগম হচ্ছে এবং সেখানে পুলিশি নজরদারি চলছে বলেও জানিয়েছেন ওই পুলিশ কর্তা। প্রসঙ্গত, কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক শহরতলিতে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। রাস্তায় চলছে মাইকিং। ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন, এই সময়ে মানুষকে ঘরে থাকার অনুরোধ করছে পুলিশ।
রাজ্যপালের বক্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, "উনি ট্যুইটারে কেন লকডাউন করছেন না? ওনার লকডাউন করা উচিত। উনি সাংবিধানিক প্রধান, কিন্তু, রাজনীতির সুরে কথা বলছেন।"