‘রোগের কোনও ধর্ম হয় না, জাত হয় না’, নিজামউদ্দিনের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া নুসরতের
নুসরতের পরামর্শ, ভয় না পেয়ে সচেতন হন।
কলকাতা: দিল্লির নিজামউদ্দিনের ঘটনায় কে দোষী? ধর্মীয় সভার আয়োজক তবলিঘ-ই-জামাত? দিল্লির অরবিন্দ কেজরিবালের সরকার নাকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক? দায় কার? লকডাউনকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ধর্মীয় সভা এবং জমায়েত করে যে বিপদ তবলিঘ-ই-জামাত ডেকে এনেছে তার খেসারত দিতে হচ্ছে গোটা দেশকে। বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুও। কেরল, মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানা সহ একাধিক রাজ্য থেকে ওই ধর্মীয় সভায় জমায়েত করেছিলেন কাতারে কাতারে মানুষ। এদের মধ্যে অনেকে ভিনদেশীও ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গেও নিজামউদ্দিন ফেরত মানুষের সন্ধান চলছে। ইতিমধ্যেই সরকার একাধিক জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিজামউদ্দিন ফেরত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিন করেছে। বাকিদেরও খোঁজ চলছে। এই পরিস্থিতিতে ‘হিন্দু-মুসলিম রাজনীতি’ না করে যে সরকারি নির্দেশ মেনে চলা উচিত, তা আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জহান।
এবিপি আনন্দকে নুসরত বলেন, “যে কোনও অসুখ ধর্ম ও জাত দেখে আসে না। এই সময় একসঙ্গে লড়তে হবে। আপনার বাড়িতে থাকা মানে অনেকের প্রাণ বাঁচবে।”
পড়ুন: নিজামউদ্দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ৭৩ জন, ৬ আক্রান্ত কলকাতা হয়ে আন্দামান ফেরেন
এর আগেও একাধিক জাতীয় সংবাদমাধ্যমে তৃণমূল সাংসদ বলেন, “আমাদের এখন ধর্ম, জাত, রাজনীতি নিয়ে কথা বলার সময় নয়। ধর্ম পরে আসবে, মানুষকে বাঁচাতে হবে।” নিজামউদ্দিনের ঘটনা প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, প্রশাসনের থেকেও মানুষ এখানে বেশি দায়ী। এই দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষের বিপদ বেড়েছে।
তাঁর পরামর্শ, ভয় না পেয়ে সচেতন হন। সাধারণের প্রতি তাঁর বার্তা, যদি করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখেন তাহলে লুকিয়ে না রেখে, তথ্য গোপন না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।