কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির মল থেকে সত্যিই ছড়াতে পারে সংক্রমণ? কী বলছে গবেষণা
এক কথায় উত্তর - খাতায় কলেম সম্ভব। তবে, এটা বাস্তবে হওয়াটা সহজ নয়।
নয়াদিল্লি: যদি কোনও ব্যক্তি কাজে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করে থাকেন, অথবা বাড়িতেই অজ্ঞাতসারে করোনা-আক্রান্ত সদস্যের ব্যবহার করা শৌচাগার ব্যবহার করেন অন্যজন, তাহলে কি আক্রান্ত ব্যক্তির মল থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে?
এক কথায় উত্তর - খাতায় কলেম সম্ভব। তবে, এটা বাস্তবে হওয়াটা সহজ নয়।
কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রধান কারণ নোভেল করোনাভাইরাস সার্স-সিওভি-২ এর পরীক্ষা করে জানা গিয়েছে, এভাবে ভাইরাস হয়ত সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তবে, বিশ্বব্যাপী, এটা সংক্রমণ প্রসারের প্রধান রুট বা রাস্তা নয়।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, প্রধান রুট হল আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে শরীর থেকে বের হওয়া ক্ষুদ্রাদিক্ষুদ্র জলের কণা। এভাবেই সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এরপর রয়েছে আক্রান্ত ব্যক্তির ছোঁয়া জিনিসপত্র ও জায়গায় হাত রাখা এবং সেই হাত পরে নিজের মুখ, চোখ ও নাকে দেওয়া।
মার্কিন গবেষণায় বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীদের মলে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। তবে, সেই পরিমাণ কতটা এবং সেই ভাইরাসের অন্য কোনও ব্যক্তিকে সংক্রমিত করার ক্ষমতা রয়েছে কি না, তা পরিষ্কার নয়।
সাধারণ ধারনা, শৌচকর্ম করার পর, ফ্লাশ করলেই মলের সঙ্গে সব ভাইরাসও চলে যায়। তবে, নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে আরেক তত্ত্ব। সেখানে বলা হয়েছে, ফ্লাশ করলে তৈরি হয় 'টয়লেট প্লুম'। সেখান থেকে ছড়াতে পারে সংক্রমণ। কিন্তু কী এই 'টয়লেট প্লুম'?
যখন কেউ শৌচকর্মের পর ফ্লাশ করেন, তখন জলের তোড়ে তৈরি হয় ক্ষুদ্রাদিক্ষুদ্র কণা। তাতে কিছু জীবাণু মিশে যায় এবং তা হাওয়ায় ভেসে গিয়ে পড়ে শৌচালয়ের বসার জায়গায়। এগুলিকে বলা হয় 'টয়লেট প্লুম'।
যে কারণে, গবেষকদের দাবি, স্বাস্থ্যসম্মত বিধি হল ঢাকনা দিয়ে ফ্লাশ করা। যাতে কোনও অবস্থায় ওই কণা বা ভাইরাস বাইরে না আসতে পারে। পাশাপাশি, একজনের ব্যবহারের কিছুক্ষণ পর আরেকজনের ওই শৌচালয় ব্যবহার করা উচিত বলেও মনে করেন গবেষকরা। স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলছে, শৌচালয় ব্যবহার করার পরই ভাল করে হাত ধুয়ে ফলতে হবে।