Abhinandan Awarded Vir Chakra: ক্যাপ্টেন অভিনন্দন বর্তমানকে বীর চক্র সম্মান প্রদান
Captain Abhinandan Varthaman:তৎকালীন উইং কম্যান্ডার (Wing Commander) অভিনন্দন বর্তমান পাকিস্তানের F-16 (Pakistani F-16) বিমানকে গুলি করে অবতরণ করেন। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বীর চক্র প্রদান করবেন।
নয়াদিল্লি: অভিনন্দন বর্তমানকে ( Abhinandan Varthaman ) বীর চক্র (Vir Chakra) সম্মানে সম্মানিত করবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ( President Ram Nath Kovind )। ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন উইং কম্যান্ডার (Wing Commander) অভিনন্দন বর্তমান পাকিস্তানের F-16 (Pakistani F-16) বিমানকে গুলি করে অবতরণ করে। সেই কাজের স্বীকৃতি হিসেবে আজ বীর চক্র সম্মানে সম্মানিত করা হবে ক্যাপ্টেন অভিনন্দন বর্তমানকে।
২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মিগ-২১ নিয়ে পাকিস্তানের সীমানায় ঢুকে যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেন অভিনন্দন। তার জন্য পাকিস্তানের হাতে তাঁকে বন্দিও হতে হয়েছিল। এমনকী সংশ্লিষ্ট দেশ ভারতীয় সেনা সংক্রান্ত তথ্য আদায়ের চেষ্টা করা করেও বলে জানা যায়। কিন্তু সেই চাপের কাছে নতি স্বীকার করেননি অভিনন্দন। সাহসিকতা ও দেশপ্রেমের জন্য তৎকালীন উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে ‘বীর চক্র’ সম্মান দেওয়ার সিদ্ধান্ত ভারত সরকারের।
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি রক্তাক্ত হয়েছিল ভূ-স্বর্গ। জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় জম্মু থেকে শ্রীনগরের যাওয়ার পথে সেনাদের কনভয়ের মাঝেই পাকিস্তানের এক জইশ জঙ্গি বিস্ফোরক-বোঝাই মারুতি নিয়ে ঢুকে পড়ে। তারপরই প্রচণ্ড বিস্ফোরণে শহিদ হন ৪০ জনের বেশি জওয়ান। এই হামলার বদলা নিতে ঠিক ১২ দিনের মাথায় আকাশপথে পাকিস্তানের বালাকোটে ঢুকে একেবারে জইশদের জঙ্গিঘাঁটিতে পাল্টা হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। ধ্বংস করে দেয় বেশ কয়েকটি জইশ জঙ্গিঘাঁটি।
বদলা নিতে তৎপর হয় পাকিস্তান। আকাশপথে ভারতে ঢুকে হামলার চেষ্টা চালায় পাকিস্তানের যুদ্ধ বিমান F-১৬। কিন্তু ভারতীয় বায়ুসেনার তৎপরতায় পাকিস্তানের সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি। বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমান মিগ-২০০ নিয়ে একেবারে ওই পাক যুদ্ধবিমানের পিছু ধাওয়া করে ঢুকে পড়ে পাকিস্তানের আকাশসীমায় এবং গুলি করে নামান ওই F-১৬। এরপরই অবশ্য পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) ঢুকে পড়ায় তাঁকে বন্দি করে সে দেশের প্রশাসন। অভিনন্দন বর্তমানকে মুক্তির দাবিতে ভারতের রাষ্ট্রনেতারা ছাড়াও সোচ্চার হয়ে ওঠে গোটা বিশ্ব। হুঁশিয়ারি দেয় রাষ্ট্রসঙ্ঘও। অবশেষে কূটনৈতিক চাপের কাছে মাথা নত করতে বাধ্য হয় ইমরান খানের প্রশাসন। মুক্তি দেওয়া হয় অভিনন্দন বর্তমানকে।