না, টাইপের ভুল নয়, সিবিএসই দ্বাদশে ৫টি পেপারেই ১০০-য় ১০০ উত্তরপ্রদেশের এই পরীক্ষার্থীর! এই প্রথম
লখনউয়ের দিব্যাংশী জৈনও ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়েছে...
নয়াদিল্লি: সোমবার সিবিএসই দ্বাদশ ক্লাসের পরীক্ষার প্রকাশিত ফল অনুযায়ী ৫০০ নম্বরের মধ্যে ৫০০ পেয়ে নজির গড়েছে তুষার সিং। সে পশ্চিম উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহরের দিল্লি পাবলিক স্কুলের ছাত্র তুষার। যে পাঁচটি বিষয়ে তুষার পরীক্ষা দেয় তার প্রতিটিতেই সে ফুল মার্কস অর্থাৎ ১০০ করে পেয়েছে। লখনউয়ের দিব্যাংশী জৈনও একশো শতাংশ নম্বর পেয়েছে।
করোনা মহামারীর কারণে এ বছর মেধা তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি বোর্ড। তবে উত্তরপ্রদেশে আর কোনও ছাত্রই পরীক্ষায় এ ভাবে ষোলো আনা নম্বর নিজের ঝুলিতে ভরতে পারেনি। সিবিএসই-র আঞ্চলিক অধিকর্তা প্রয়াগরাজ শ্বেতা অরোরা জানিয়েছেন, অতীতে কেউই এই পরীক্ষায় এভাবে ১০০ শতাংশ নম্বর পায়নি।
প্রসঙ্গত সিবিএসই বারো ক্লাসের পরীক্ষায় ছাত্রদের বাধ্যতামূলকভাবে পাঁচটি বিষয় পড়তে হয়, তবে ঐচ্ছিক বিষয়টি নিজে বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা তাদের থাকে। কেউ ঐচ্ছিক বিষয় নেয়, কেউ বা নেয়ও না। তুষার ঐচ্ছিক বিষয় নেয়নি। দিব্যাংশি ঐচ্ছিক বিষয় নিয়েছিল। সে ছটা বিষয়েই ১০০ করে নম্বর পেয়েছে।
তুষার রেজাল্ট দেখে প্রথমে ভাবে নির্ঘাৎ টাইপ এরর হয়েছে। সে বলেছে, আমি কম্পিউটার রিফ্রেশ করি রেজাল্ট দেখার পর। শেষটায় ক্লাসের একজন আমায় ফোন করে বলার পর বিশ্বাস করি।
ইংরাজি, ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, শারীরবিদ্যা এবং ভূগোলে ফুল মার্কস পেলেও তিনি বলেন, আমার মনে হয় ইংরাজিতে কারও পুরো নম্বর পাওয়া উচিত নয়, কারণ চিঠি বা রচনা কখনও পুরো নিখুঁত হতে পারে না।
করোনা মহামারীর কারণে ভূগোল পরীক্ষা দিতে পারেনি তুষার। নিয়ম অনুযায়ী ইন্টারনাল পরীক্ষার গড় করে তাকে ১০০ শতাংশ নম্বর দেওয়া হয়েছে। অধ্যাপক বাবা-মায়ের পুত্র তুষার বাড়ির বড় ছেলে। সে জানিয়েছে কোনও নির্দিষ্ট টাইম টেবিল মেনে সে পড়াশোনা করেনি। তবে রোজ পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা পড়েছে সে। বিএ পড়তে চায় তুষার। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্যও প্রস্তুতি নেবে সে।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI