Menstrual Policy: বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন মিলবে স্কুলে? ঋতুমতী পড়ুয়াদের জন্য নয়া নীতি আনছে কেন্দ্র
Supreme Court: ২০২৩ সালের ১০ এপ্রিল এ নিয়ে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
নয়াদিল্লি: ঋতুমতী মেয়েদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা স্কুলে। সেই নিয়ে বিশেষ নীতি আসছে এবার। সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। স্কুলে ঋতুমতী মেয়েদের জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা করার জন্য এর আগে নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। সোমবার সেখানে কেন্দ্র জানায়, ঋতুকালীন পরিচ্ছন্নতা নিয়ে নয়া নীতি আনা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ইতিমধ্যেই তাতে অনুমোদন দিয়েছে। (Menstrual Policy)
২০২৩ সালের ১০ এপ্রিল এ নিয়ে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সোমবার সেই নিয়ে জবাব চাইলে কেন্দ্র জানায়, স্কুল পড়ুয়া ঋতুমতী মেয়েদের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে নয়া নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি বছরের ২ নভেম্বর তাতে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। (Supreme Court)
স্কুল পড়ুয়া ঋতুমতী মেয়েদের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে আদালেত জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী তথা সমাজকর্মী জয়া ঠাকুর। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে পাঠরত মেয়েরা যাতে স্কুলে বিনামূল্যে স্যানিটারি প্যাড পায়, সমস্ত সরকারি স্কুলে তাদের জন্য পৃথক শৌচাগারের ব্যবস্থা যেন থাকে, দাবি জানিয়েছিলেন জয়া।
ঋতুকালীন পরিচ্ছন্নতা নিয়ে স্কুলগুলিতে যাতে খোলামেলা আলোচনার পরিস্থিতি তৈরি হয়, সেই নিয়ে যাতে সম্যক ধারণা জন্মায় সকলের মনে, ঋতুমতী মেয়েদের প্রতি যাতে বৈষম্যমূলক আচরণ না করা হয়, তার জন্য সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা নিতে আর্জি জানান। সমীক্ষার মাধ্যমে সরকারি স্কুলগুলির পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা এবং সেই মতো ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন জানান জয়া।
সোমবার সেই নিয়ে হলফনামা জমা দেয় কেন্দ্র। তারা জানায়, ঋতুস্রাব নিয়ে প্রচলিত সামাজিক ছুঁতমার্গ দূর করতে, ঋতুকালীন পরিচ্ছন্নতা এবং ঋতুকালীন বর্জ্য বান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে নয়া বিধি আনা হয়েছে। বিচারপতি জেপি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি পঙ্কজ মিথলের বেঞ্চে আগামী ১২ অক্টোবর শুনানি রয়েছে জনস্বার্থ মামলাটির।
এর আগে, আদালেত কেন্দ্র জানিয়েছি, দেশের ৯৭.৫ শতাংশ সরকারি, বেসরকারি স্কুলেই মেয়েদের জন্য পৃথক শৌচাগার রয়েছে। দিল্লি, গোয়া, পুদুচ্চেরী-সহ রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি ১০০ শতাংশ দাবিদাওয়া পূরণ করেছে। কেন্দ্র জানায়, দেশের ১০ লক্ষ সককারি স্কুলে ছেলেদের জন্য ১৬ লক্ষ এবং মেয়েদের জন্য ১৭.৫ লক্ষ শৌচাগার তৈরি করা হয়েছে। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে ছেলে ও মেয়েদের জন্য যথাক্রমে ২.৫ লক্ষ এবং ২.৯ লক্ষ শৌচালয় নির্মিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের উল্লেখ করে কেন্দ্র জানায়, রাজ্যের ৯৯.৯ শতাংশ স্কুলে মেয়েদের পৃথক শৌচাগার রয়েছে। উত্তরপ্রদেশে হার ৯৮.৮ শতাংশ।
কেন্দ্রের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, তামিলনাড়ুতে ৯৯.৭ শতাংশ, কেরলে ৯৯.৬ শতাংশ, সিকিম-গুজরাত ও পঞ্জাবে ৯৯.৫ শতাংশ, ছত্তীসগঢ়ে ৯৯.৬ শতাংশ,কর্নাটকে ৯৮.৭ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশে ৯৮.৬ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে ৯৭.৮ শতাংশ, রাজস্থানে ৯৮ শতাংশ, বিহারে ৯৮.৫ এবং ওড়িশায় ৯৬.১ শতাংশ স্কুলে পৃথক শৌচাগার রয়েছে। দেশের উত্তর-পূর্বে এই হার গড়ে ৯৮ শতাংশ। জম্মু ও কাশ্মীরের ৮৯.২ শতাংশ স্কুলে মেয়েদের জন্য পৃথক শৌচাগার রয়েছে।