India - Pakistan - China :বড় ধাক্কা পাকিস্তানের, ভারতের সঙ্গেই গলা মেলাল চিন ! দিল বড় বার্তা
ব্রাসিলিয়ায় আয়োজিত BRICS Parliamentary Forum ও পহেলগাঁও হামলার তীব্র নিন্দা করল। সেই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সংকল্পও নিল।

নয়া দিল্লি: জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে পাকিস্তানের ভূমিকা কার্যত মেনেই নিয়েছে বিশ্ব। ভারতের প্রত্যাঘাত অভিযান অপারেশন সিন্দুরের সময় বিভিন্ন দেশ ছিল ভারতের পাশেই। পহেলগাঁও হামলায় পাকিস্তানের মদতের বিষয়টি স্পষ্ট সারা বিশ্বের কাছে। পাকিস্তানও বুঝে গিয়েছে, এক তুরস্ক ছাড়া আর কেউ পাশে নেই। এবার চিনের কথাতেও বড় ধাক্কা খেল পাকিস্তান। তবে কি তাদের আশা-ভরসা ধুলোয় মিশিয়ে দিল চিনও? শুক্রবার ব্রাসিলিয়ায় আয়োজিত BRICS Parliamentary Forum ও পহেলগাঁও হামলার তীব্র নিন্দা করল। সেই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার সংকল্পও নিল। আর এই ফোরামের অন্যতম দুই সদস্য চিন ও ইরান। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশষজ্ঞরা মনে করছে, এটি পাকিস্তানের কাছে নিঃসন্দেহে একটি বড় ধাক্কা। কারণ, এই ফোরামে চিনের পাশাপাশি রয়েছে একাধিক মুসলিম দেশও । ফোরামে প্রতিনিধিত্বকারী দশটি দেশ হল: ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়া, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, মিশর, ইথিওপিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া।
বৈঠকে ভারতের নেতৃত্ব দেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। উল্লেখ্য, ভারত অপারেশন সিঁদুরের পর ৭ টি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়ে ভারতের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী নীতি তুলে ধরছে। সেই সঙ্গে চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে কীভাবে দিনের পর দিন সন্ত্রাসকে মদত দিয়ে চলেছে পাকিস্তান।
BRICS Parliamentary Forum এ ভাষণে ওম বিড়লা বলেন,' সন্ত্রাসবাদ আজ একটি বিশ্ব সঙ্কট হয়ে উঠেছে, যা আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমেই মোকাবিলা করা যেতে পারে। তিনি চারটি প্রধান পদক্ষেপের সুপারিশ করেন। এর মধ্যে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির আর্থিক সাহায্য বন্ধ করা, গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করা, প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ করা এবং তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা বৃদ্ধি করার মতো ইত্যাদি বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত ছিল। ওম বিড়লার কথা বৈঠকে উপস্থিত সব দেশ একমত হয়ে গ্রহণ করে চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
লোকসভা সচিবালয়ের তরফে জারি করা বিবৃতি অনুযায়ী, যৌথ ঘোষণাপত্রে ভারতের পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসবাদী হামলার তীব্র নিন্দা করা হয়েছে এবং সমস্ত BRICS দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে কাজ করতে রাজি হয়েছে। বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ ছাড়াও AI, বিশ্ব বাণিজ্য, আন্তঃ-সংসদীয় সহযোগিতা, এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা-র মতো বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ব্রিকস-এর অন্তর্ভুক্ত সব দেশই একযোগে স্বীকার করে, এই মুহূর্তে বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য সমস্ত দেশগুলির সক্রিয় অংশগ্রহণ অপরিহার্য।





















