এক্সপ্লোর
Advertisement
আর আট বছরের মধ্যেই আমেরিকাকে টপকে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠবে চিন :রিপোর্ট
২০২৮-এর মধ্যেই আমেরিকাকে টপকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতি হয়ে উঠবে চিন। একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক জানিয়েছে, পূর্বাভাসের পাঁচ বছর আগেই বৃহত্তম অর্থনীতির তকমা পেতে চলেছে চিন। এর কারণ হল, কোভিড-১৯ অতিমারীর বিপর্যয় সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে দুই দেশের ফারাক।
নয়াদিল্লি: ২০২৮-এর মধ্যেই আমেরিকাকে টপকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতি হয়ে উঠবে চিন। একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক জানিয়েছে, পূর্বাভাসের পাঁচ বছর আগেই বৃহত্তম অর্থনীতির তকমা পেতে চলেছে চিন। এর কারণ হল, কোভিড-১৯ অতিমারীর বিপর্যয় সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে দুই দেশের ফারাক।
বেশ কিছু সময় ধরেই বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষেত্রে আলোচ্য বিষয় হয়ে রয়েছে অর্থনীতি এবং আমেরিকা ও চিনের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই। শনিবার প্রকাশিত রিপোর্টে এ কথা বলেছে সেন্টার ফর ইকনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ অতিমারি এবং অর্থনীতিতে এর প্রভাব এক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চিনেরই পাল্লা ভারি করেছে। সিইবিআর বলেছে, আগাম কঠোর লকডাউন সহ অতিমারীর দক্ষ হাতে মোকাবিলা এবং পশ্চিমের দীর্ঘ মেয়াদি বৃদ্ধিতে ধাক্কার অর্থ চিনের তুলনামূলক আর্থিক পারফরম্যান্সের উন্নতি ঘটেছে।
২০২১-২৫ পর্যন্ত চিনের আর্থিক বৃদ্ধির হার গড়ে ৫.৭ শতাংশ হতে পারে। এর পরবর্তী পর্বে ২০২৬-৩০ পর্যন্ত বৃদ্ধির হার কিছুটা কমে ৪.৫ শতাংশ থাকবে।
অন্যদিকে, অতিমারীর ধাক্কা কাটিয়ে ২০২১-এ বেশ ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে। তবে ২০২২ থেকে ২০২৪-এর মধ্যে এই বৃদ্ধির হার ১.৯ শতাংশের মতো কম হতে পারে। পরে তা ১.৬ শতাংশ কম হতে পারে। ডলারের নিরিখে জাপান বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি থাকবে ২০৩০ পর্যন্ত। তবে এরপর ৩০-এর দশকের শুরুতে জাপানকে টপকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে ভারত। এক্ষেত্রে জার্মানি চার নম্বর থেকে সরে যাবে পাঁচ নম্বরে। বর্তমানে বিশ্বের পঞ্চম বৃহৎ অর্থনীতি ব্রিটেন। সিইবিআর-র মাপকাঠি অনুযায়ী, ২০২৪-এর পর তারা ষষ্ঠস্থানে চলে যাবে।
২০২১-এ ইউরোপীয় ইউনিয়নের একক বাজার থেকে বহির্গমন সংক্রান্ত ধাক্কার পরও ডলারে ব্রিটিশ জিডিপি ২০৩৫-র মধ্যে ফ্রান্সের থেকে ২৩ শতাংশ বেশি হবে। ডিজিটাল অর্থনীতির ক্ষেত্রে দাপটের কারণে ব্রিটেন এই হার ধরে রাখতে পারবেষ
২০২০-তে বিশ্বের সেরা ১০ অর্থনীতিতে ইউরোপের আউটপুট ১৯ শতাংশ। কিন্তু ২০৩৫-এর মধ্যে তা ১২ শতাংশে নেমে আসবে। ইইউ ও ব্রিটিনের ভাঙন আরও বেশি তীব্র হলে তা আরও কমতে পারে বলে সিইবিআর জানিয়েছে।
সিইবিআর জানিয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতিতে অতিমারীর প্রভাব ঠিমে গতির আর্থিক বৃদ্ধিতে নয়, উচ্চহারে মুদ্ধাস্ফীতিতে পড়বে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২০-র দশকের মাঝামাঝি থেকে সুদের হারে ঊর্ধ্বগতি সম্পন্ন অর্থনৈতিক চক্র দেখা যেতে পারে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রচুর পরিমাণ তহবিল যে সব সরকার ধার করেছে, তাদের কাছে তা সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু এই পর্বে যে প্রবণতা ফুটে উঠছে তাতে ২০৩০ দিকে আরও বেশি সবুজ ও প্রযুক্তি নির্ভরতা থাকবে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
ক্রিকেট
জেলার
জেলার
ক্রিকেট
Advertisement