Spyware: বিরোধী শিবির, বিচারব্যবস্থার উপর নজরদারি, ৯৬০ কোটিতে আরও এক স্পাইওয়্যার! ফের কাঠগড়ায় কেন্দ্র
Congress: সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই অভিযোগ তোলেন কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা।
নয়াদিল্লি: স্পাইওয়্যার (Spyware) ব্যবহার করে বিরোধীদের ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। একবার ফের কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ সামনে এল। তবে এ বার আর ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসস নয়, বরং হ্যাকার দলকে আড়িপাতা হচ্ছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের (Congress)। তাতে আরও একবার বিতর্ক মাথাচাড়া দিচ্ছে।
আগেও বিরোধী শিবিরের নেতাদের ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে
পেগাসাস বিতর্কে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। অভিযোগ ওঠে, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে রাহুল গান্ধী, অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর-সহ বিরোধী শিবিরের তাবড় রাজনীতিক, বিশিষ্ট সমাজকর্মী, আইনজীবী, সাংবাদিকদের ফোনে আড়িপাতা হয়। এমনকি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ফোনেও আড়িপাতা হয় বলে ওঠে অভিযোগ। আদালত পর্যন্ত গড়ায় সেই মামলা। সরাসরি অভিযোগ খারিজ না করে, সংসদে জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দেওয়া হয়। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের একই অভিযোগ উঠল।
সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই অভিযোগ তোলেন কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা। তাঁর দাবি, সর্বপ্রথম কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা ব্যবহার করে নরেন্দ্র মোদি সরকার। তার পর ব্যবহার করা হয় পেগাসাস। এ বার 'টিম হোরহে'র নেতৃত্বাধীন ইজরায়েলের হ্যাকার দলকে ভাড়া করা হয়েছে। ভারতীয় গণতন্ত্রে রাজনৈতিক খোলনলচে পাল্টে দিতে আরও এক স্পাইওয়্যার কেনা হয়েছে। আরও ৯৬০ কোটি টাকা তাতে খরচ হবে বলে দাবি করেছেন পবন।
Press Briefing by Shri @Pawankhera https://t.co/0WE9KDdUpj
— AICC Communications (@AICCMedia) April 10, 2023
আরও পড়ুন: 8th Pay Commission: শীঘ্রই অষ্টম বেতন কমিশন ! কী বলছে মোদি সরকার ?
পবনের বক্তব্য, "পেগাসাস, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার পর 'টিম হোরহে'। ব্যক্তি তথা প্রতিষ্ঠানের কথায় আড়ি পাততে, নজরদারি চালাতে নয়া স্পাইওয়্যার কিনেছে মোদি সরকার। বিরোধী শিবির, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, সংবাদমাধ্যম, নাগরিক অধিকার কর্মী, বিচারব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন এবং গণতন্ত্রে রক্ষকের ভূমিকা পালনকারী প্রতিষ্ঠানগুলিকে নজরদারির আওতায় আনা হয়েছে।"
৯৬০ কোটি টাকা খরচ করে কেনা হয়েছে নয়া স্পাইওয়্যার!
কেন্দ্রকে আক্রমণ করে পবন বলেন, "আড়িপাততে এবং নজরদারি চালাতে ম্যালওয়্যার এবং স্পাইওয়্যার মোদিজি যখন এত খরচই করছেন, ভুয়ো সংস্থা মারফত আদানির কাছে ২০ হাজার কোটি কোন উপায়ে গেল, তা কেন বলতে পারছেন না? " বেআইনি উপায়ে, অসাংবিধানিক উপায়ে নজরদারি চক্র চালানো হচ্ছে বলেও দাবি করেন পবন।