Navjot Singh Sidhu: প্রয়াত পাঞ্জাবি গায়কের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন সিধুর
Sidhu questioned on State Law and Order Situation: প্রয়াত পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসওয়ালার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন সদ্য জেল থেকে মুক্তি পাওয়া নভজ্যোৎ সিংহ সিধু। কী প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেস নেতা ?
চন্ডীগড়: সদ্য জেলমুক্তি পেয়েছেন কংগ্রেস নেতা তথা ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোৎ সিংহ সিধু ( Congress Navjot Singh Sidhu)। আর এবার কংগ্রেস নেতা তথা প্রয়াত পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসওয়ালার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন তিনি।
প্রকাশ্যে দিবালোকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল তার। পাঞ্জাবের মানসা জেলায় কীভাবে সিধু মুসওয়ালার মৃত্যু হল, এনিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছিল নিহতের পরিবার। যদিও দেখতে দেখতে অনেকগুলি দিনই পার হয়ে গিয়েছে। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন সিধু। তিনি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, 'সরকারের কাজ কি অপরাধ আড়াল করা নাকি ইন্ধন দেওয়া ?'
Punjab | Congress leader Navjot Singh Sidhu meets late singer Sidhu Moosewala's family in Mansa
— ANI (@ANI) April 3, 2023
"Are governments supposed to protect or perpetrate crime?" he says as he questions the law & order situation in the state. pic.twitter.com/NH95ip4iJh
প্রসঙ্গত, ৩৫ বছরের পুরনো একটি ঘটনায়, ২০২২ সালে ২০ মে পাতিয়ালা আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলেন পঞ্জাবের প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোৎ সিংহ সিধু। মূলত, ১৯৮৮ সালের একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, গতবছর সিধুকে সুপ্রিম কোর্ট ১ বছরের সাজা দিয়েছিলেন। তবে সদ্য দীর্ঘ ১০ মাস শেষে জেল মুক্তি হয় সিধুর। এই মামলায় প্রথমে নিম্ন আদালত সিধুকে রেহাই দিয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্ট সিধুকে তিন বছরের সাজা শুনিয়েছিল। তবে ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট , হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তকে বদলে দেয়।
পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট নভজ্যোৎ সিংহ সিধুর উপর ১ হাজার টাকার জরিমানা ধার্য করে। তবে সিধুর পরিবারের পক্ষ থেকে ২০১৮ সালের মে মাসে এই শুনানি পুনরায় বিচার করার আবেদন জানানো হয়। এরপর ২০২২ সালের ১৯ মে সিধুর সাজা কমিয়ে তা ১ বছরে নামিয়ে আনা হয়। চলতি বছরের ১৯ মে তার ছাড়া পাওয়ার কথা ছিল। জেলা কৃর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জেলের ভিতর ভাল ব্যবহার করার জন্যই, আগেই সিধুকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালে একটি ঘটনার ভিত্তিতেই এই মামলা হয়। ওই বছর সিধু ও তাঁর বন্ধু রূপিন্দর সিংহ সাঁধু রাস্তার মাঝখানে গাড়ি রেখে চলে যাওয়ায় মারুতি চালক এক বৃদ্ধ তার প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, বচসার সময় গুরুনাম সিংহ নামের ওই বৃদ্ধকে সপাটে চড় মারেন। মাথায় আঘাত পেয়ে মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধর।
আরও পড়ুন, পিছনে বাইডেন, ঋষি সুনক! গোটা বিশ্বে ১ নম্বরে নরেন্দ্র মোদি
ওই সময় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও, প্রমাণের অভাবে নিম্ন আদালতে সিধু এবং তার সহযোগীকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়। তবে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে সিধু দোষী সাব্যস্ত হন। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সিধু সুপ্রিম কোর্টে গেলে শীর্ষ আদালত হাইকোর্টের রায় খারিজ করে দেয়। এই মামলায় ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করার অভিযোগে এক বছরের সাজা শোনায় সুপ্রিম কোর্ট।