Coromandel Express Accident: CBI তদন্তের জের, ওড়িশার এই স্টেশনে আপাতত থামবে না কোনও ট্রেন
Coromandel Express Accident: ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনার পর ইতিমধ্য়েই এক সপ্তাহ পার। সিবিআই তদন্তের কারণে আপাতত কোনও ট্রেন দাঁড়াবে না বাহানগা বাজারে।
কলকাতা: ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনার (Coromandel Express Accident) পর ইতিমধ্য়েই এক সপ্তাহ পার। ২ জুন ওড়িশার বাহানগা বাজার স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল শালিমার চেন্নাই করমন্ডল এক্সপ্রেস। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার পর তদন্তে নেমেছে সিবিআই। তাই সিবিআই তদন্তের (CBI Investigation) কারণে আপাতত কোনও ট্রেন দাঁড়াবে না বাহানগা বাজারে।
এদিকে কবে তদন্ত শেষ হবে, তা স্পষ্ট নয়। স্বাভাবিকভাবেই বাহানগা বাজার স্টেশনে ট্রেন না দাঁড়ানোর কারণে যাত্রীদের অসুবিধা কবে শেষ হবে, তা এখনও জানা যায়নি। দুর্ঘটনার পরদিন ৩ জুন, ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানিয়েছিলেন, এই ঘটনার তদন্ত করবেন, রেলের সুরক্ষা কমিশনার (দক্ষিণ পূর্ব সার্কল) এএম চৌধুরী। তবে ৪ জুন, অর্থাৎ তার ১ দিন পর রেলমন্ত্রী জানান, করমন্ডল দুর্ঘটনায় সিবিআই তদন্তের প্রস্তাব করেছে রেল বোর্ড। এর পর থেকেই দুর্ঘটনার তদন্তে নামেন সিবিআই আধিকারিকরা।
২ জুন শুক্রবার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস, হাওড়াগামী যশোবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেস এবং একটি মালগাড়ি। ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বেড়েই চলেছিল মৃত্যুর গ্রাফ। আহতর সংখ্যাও ছিল বহু। দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। উদ্ধারকাজে নেমেছিল বায়ুসেনা, এনডিআরএফের ৯টি টিম। হেলিকপ্টারের সাহায্যে চলছিল উদ্ধারকাজ। ট্রেনের দরজা ভেঙে,গ্যাস কাটারের সাহায্যে উদ্ধারকাজ চালানো চলছিল। ড্রোন উড়িয়ে, স্নিফার ডগ এনে চলছিল তল্লাশি। উদ্ধারকাজ জোরদার করতে মালদা ডিভিশনের ২২৪ জন আরপিএফ জওয়ানকে দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। এই ট্রেন দুর্ঘটনার পর রেলের তরফে খোলা হয় বিশেষ হেল্পলাইন। যাতে যাত্রীদের খোঁজখবর নিতে পারেন উদ্বিগ্ন পরিজনরা।
(033) 2638 2217 (হাওড়া)
8970273925 (খড়্গপুর)
9332392339 (খড়্গপুর)
9903370746 (শালিমার)
8249591559 (বালেশ্বর)
7978418322 (বালেশ্বর)
06782262286 (বালেশ্বর)
আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?
আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পাশে দাঁড়িয়ে রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেছিলেন,'আমি যখন রেলমন্ত্রী ছিলাম, দুর্ঘটনা প্রতিরোধী যন্ত্র (Anti Collison Device) তৈরি করেছিলাম। গোয়ায় গিয়ে সব ব্যবস্থা হয়েছিল। তার পর থেকে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমেছিল। এটি এমন একটি যন্ত্র, যা ট্রেনে বসানো থাকলে, এক লাইনে যদি দু'টি ট্রেন এসে পড়ে, বা সামনে কিছু পড়ে থাকে, আপনা থেকেই থেমে যাবে ট্রেন। কিছু গড়বড় দেখলে সতর্কবার্তা যাবে।'