Coromandel Express Accident: 'ঘুমের মধ্যেই বুঝলাম ট্রেন তলিয়ে যাচ্ছে, আপার বার্থে কোনওমতে ফ্যান আঁকড়ে বসেছিলাম'
Odisha Train Tragedy: শালিমার থেকে চেন্নাইয়ের দিকে যাত্রা শুরু করেছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এই যুবকও শালিমার থেকেই চড়েছিলেন ট্রেনে।
বালেশ্বর: অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express)। নিশ্চিন্তের ট্রেনযাত্রা এক নিমেষে শয়ে শয়ে মানুষের শেষযাত্রা হয়ে গিয়েছে। চারদিকে শুধুই হাহাকার, আর্তনাদ। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মৃতদেহ। ট্রেনের কামরাগুলি (Train Derailed) এমনভাবে পড়ে রয়েছে, দেখলে মনে হবে যেন খেলনা গাড়ি। পুরো দৃশ্যটাই যেন মৃত্যুপুরীর। সূত্রের খবর, ওড়িশার ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই ২৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ৬৫০-র বেশি যাত্রী। কোথায় গিয়ে এই মৃত্যুমিছিল থামতে চলেছে, জানা নেই কারও। শুক্রবার ২ জুন সন্ধেবেলা লাইনচ্যুত হয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ১৫টি কামরা। অল্পের জন্য এ যাত্রায় রক্ষা পেয়েছেন এস৫ কোচে থাকা কয়েকজন যুবক। কিন্তু ক্ষণিকের মধ্যেই কার্যত মৃত্যুকে সামনে থেকে দেখেছেন তাঁরা। এক যুবক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন সংবাদমাধ্যমে।
#WATCH हम S5 बोगी में थे और जिस समय हादसा हुआ उस उस समय मैं सोया हुआ था... हमने देखा कि किसी का सर, हाथ, पैर नहीं था... हमारी सीट के निचे एक 2 साल का बच्चा था जो पूरी तरह से सुरक्षित है। बाद में हमने उसके परिवारिजन को बचाया: हादसे के बारे में बताते हुए कोरोमंडल एक्सप्रेस का एक… pic.twitter.com/0Ni3WR1Lwy
— ANI_HindiNews (@AHindinews) June 2, 2023
ওই যুবক জানিয়েছেন, যেসময় ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হচ্ছিল, ঘুমাচ্ছিলেন তিনি। আচমকাই বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায় তাঁর। প্রথমে কিছুই বুঝতে পারেননি। শুধু দেখতে পান ট্রেন যেন গভীর খাদে তলিয়ে যাচ্ছে। আপার বার্থে সিট ছিল ওই যুবকের। কোনওমতে মাথার উপরের ফ্যান আঁকড়ে বসেছিলেন তিনি। একটু ধাতস্থ হওয়ার পর নেমে আসেন নীচে। যুবকের কথায়, 'চারদিকে সবাই তখন ছুটে পালাচ্ছেন। সকলেই বলছেন বাঁচাও, বাঁচাও। একটু সাহায্য করো। কারও মাথা নেই, কারও বা হাত-পা। মাথা কাজ করছিল না কী করব। কিছুক্ষণ পর ক্যান্টিনে আগুন লেগে যায়। আমরা যে ক'জন ছিলাম কোনওমতে পালিয়ে বাঁচি। একটাই ভাল খবর। আমাদের সিটের নীচে বছর দুয়েকে একটি বাচ্চা ছিল। সে একদম সুস্থ-অক্ষত রয়েছে। তার পরিবারের লোকজনকেও সাহায্য করেছিলাম আমরা।'
শালিমার থেকে চেন্নাইয়ের দিকে যাত্রা শুরু করেছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এই যুবকরাও শালিমার থেকেই চড়েছিলেন ট্রেনে। গন্তব্য ছিল চেন্নাই। কিন্তু মাঝপথেই ঘটে গিয়েছে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন সকলেই। ওড়িশার বালাসোরের কাছে বাহানাগা স্টেশনে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। করমণ্ডল এক্সপ্রেস ছাড়াও হাওড়া-বেঙ্গালুরু সুপারফাস্টের ৩-৪টি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছে। একটি মালগাড়ির বগিও লাইনচ্যুত হয়েছে এই দুর্ঘটনায়। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। এনডিআরএফের পাশাপাশি ওড়িশার উদ্ধারকারী দলও অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে। এয়ারলিফটের জন্য তৈরি রয়েছে চপার। ঘটনাস্থলে ড্রোন এবং স্নিফার ডগ নিয়ে চলছে পর্যবেক্ষণ। তদন্তে নেমেছে ফরেন্সিক দলও। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। উদ্ধারকাজ এবং আহতদের মেডিক্যাল পরিষেবা দেওয়ার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীকেও মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ত্বকের যত্নে বছরভর কোন কোন প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন?