ফেরানো যাবে না রোগী, কোভিড রিপোর্ট না থাকলেও শুরু করতে হবে চিকিৎসা, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নয়া নির্দেশ
যদি কোনও রোগীর কাছে কোভিডের রিপোর্ট নাও থাকে, সেক্ষেত্রেও তাঁকে ভর্তি নিতে হবে হাসপাতালে। সব হাসপাতালকেই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সন্দেহজনক রোগীদের আলাদা ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসার জন্য সেই ধরণের ওয়ার্ডের সংখ্যা বাড়াতে বলা হয়েছে।
নয়াদিল্লি : কোভিড রোগীদের ভর্তিতে বিলম্ব এড়াতে নতুন পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকারের। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে সংশোধিত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে সাফ বলা হয়েছে, হাসপাতালের দ্বারস্থ হওয়া কোনও রোগীকে ফেরানো যাবে না। যদি কোনও রোগীর কাছে কোভিডের রিপোর্ট নাও থাকে, সেক্ষেত্রেও তাঁকে ভর্তি নিতে হবে হাসপাতালে। সব হাসপাতালকেই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সন্দেহজনক রোগীদের আলাদা ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসার জন্য সেই ধরণের ওয়ার্ডের সংখ্যা বাড়াতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এক শহরের রোগী অন্য শহরে গিয়ে ভর্তি হতে চাইলেও ফেরানো যাবে না রোগীকে। সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্য সরকারকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে কোভিডের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
একঝলকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সংশোধিত নির্দেশিকা-
কোভিড সন্দেহে ভর্তি হওয়ার আগে আবশ্যিক নয় কোভিড রিপোর্ট।
সন্দেহজনক রোগীদের চিকিৎসার জন্য আলাদা ওয়ার্ডের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
কোনওভাবেই ফেরানো যাবে না কোনও রোগীকে।
অন্য শহরের বাসিন্দা রোগীকেও ফেরানো যাবে না।
রোগীর শারীরিক পরিস্থিতি অনুযায়ী নির্ধারিত হবে ভর্তির সময়।
কোভিডের রিপোর্ট আসা পর্যন্ত প্রয়োজনীয় চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে।
সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার চাইলে সেখানকার বেসরকারি হাসপাতালকে কোভিড কেয়ার সেন্টার বানিয়ে চিকিৎসা করাতে পারে।
গোটা দেশেই ক্রমশ ভয়ঙ্কর চেহারা নিচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। লাখো লাখো ভারতীয় রোজ সংক্রমিত হচ্ছেন। রোজই আমরা হারাচ্ছি একাধিক ভারতবাসীকে। এর মাঝেই গোটা দেশ জুড়ে করোনা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে বেড থেকে অক্সিজেনের সংকুলান চিন্তা বাড়াচ্ছে। এর মাঝে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শনিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লক্ষ ১ হাজার ৭৮ জন। শুক্রবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪ লক্ষ ১৪ হাজার ১৮৮। বৃহস্পতিবার একদিনে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪ লক্ষ ১২ হাজার ২৬২ জন।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ১৮৭ জনের। শুক্রবার দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৯১৫। বৃহস্পতিবার একদিনে মৃত্যু হয়েছিল ৩ হাজার ৯৮০ জনের।