Coronavirus Second Wave : করোনা-বিধ্বস্ত একাধিক রাজ্যে প্রতিদিন ৭০০ টন অক্সিজেনের জোগান রিলায়েন্সের
Coronavirus second Wave update : গুজরাটের জামনগর তৈল শোধনাগারে অক্সিজেনের উৎপাদন বাড়িয়েছে মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। কোভিড-বিধ্বস্ত তিনটি রাজ্যে প্রতিদিন ৭০০ টন করে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
দিল্লি : করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত জেরবার দেশ। আক্রান্তদের কাছে সময়ে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়াই এখন মূল চ্যালেঞ্জ। এই সঙ্কটজনক অবস্থায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। করোনায় দেশে সবথেকে আক্রান্ত কয়েকটি রাজ্যে বিনামূল্যে মেডিকেল-গ্রেড অক্সিজেন পৌঁছে দিচ্ছে এই সংস্থা। এজন্য সংস্থার গুজরাটের জামনগর তৈল শোধনাগারে বাড়ানো হয়েছে অক্সিজেনের উৎপাদন। এই মুহূর্তে সেখানে প্রতিদিন ৭০০ টন মেডিকেল গ্রেড অক্সিজেন প্রস্তুত করা হচ্ছে।
জামনগরের এই শোধনাগারে প্রাথমিকভাবে ১০০ টন মেডিকেল গ্রেড অক্সিজেন উৎপাদন করা হত। এখন তা বাড়িয়ে ৭০০ টন করা হয়েছে। এই পরিমাণ অক্সিজেন করোনা-বিধ্বস্ত গুজরাট, মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশে পাঠানো হচ্ছে। এর ফলে ৭০ হাজারের বেশি সঙ্কটজনক রোগীকে জরুরি অবস্থায় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যাবে। সূত্রের খবর, অক্সিজেন উৎপাদনের পরিমাণ ১ হাজার টন পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে রিলায়েন্স।
প্রসঙ্গত, জামনগর শোধনাগারে মেডিকেল গ্রেড অক্সিজেন তৈরি করা হত না। এখানে ক্রুড অয়েলকে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে ডিজেল, পেট্রল এবং জেট জ্বালানি প্রস্তুত করা হত। কিন্তু, করোনার জেরে অক্সিজেনের চাহিদা বাড়তে থাকায় এই প্ল্যান্টে নতুন পরিকাঠামো তৈরি করে মেডিকেল গ্রেড অক্সিজেন উৎপাদন শুরু হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল অক্সিজেনকে মেডিকেল গ্রেড অক্সিজেনে পরিণত করা হচ্ছে।
কর্পোরেট সোশাল রেসপনসিবিলিটিতে সংস্থার এই উদ্যোগ। সূত্রের খবর, বিশেষ ট্যাঙ্কারে মাইনাস ১৮৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রেখে অক্সিজেনের পরিবহনও নিজেদের খরচায় করছে সংস্থা। এজন্য রাজ্য সরকারগুলিকে কোনও অর্থ দিতে হচ্ছে না।
গুজরাটের জামনগরে রিলায়েন্সের এই শোধনাগারটি বিশ্বের সবথেকে বড় তৈল শোধনাগার। করোনা মোকবিলায় অক্সিজেনের জোগান-রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের অপর একটি উদ্যোগ। এর আগে বৃহন্মুম্বই পৌরনিগমের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে দেশের প্রথম কোভিড হাসপাতাল তৈরি করেছিল রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন। মাত্র দুই সপ্তাহে ১০০ শয্যার এই হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছিল। যেটা পরে আড়াইশো শয্যায় পরিণত করা হয়। এছাড়া মহারাষ্ট্রের লোধিভালিতে আইসোলেশন সেন্টার তৈরি করে তা জেলা প্রশাসনকে হস্তান্তরিত করে রিলায়েন্স। মুম্বইয়ের স্পন্দন হোলিস্টিক মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার হসপিটালের করোনা-সন্দেহে ভর্তি রোগীদের জন্য কোয়ারেন্টাইন ওয়ার্ড তৈরিতে সাহায্য করেছিল রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন। দিল্লিতে সর্দার প্যাটেল কোভিড ১৯ কেয়ার সেন্টার তৈরিতেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। এর পাশাপাশি দেশের স্বাস্থ্য এবং ফ্রন্টলাইনে থাকা কর্মীদের জন্য নিয়মিত ১ লাখ পিপিই ও মাস্ক তৈরি করে। টেস্টিং কিটের জোগান দিচ্ছে রিলায়েন্স লাইফ সায়েন্সেস। এছাড়া লকডাউনের সময় মিশন আন্না সেবায় ১৮টি রাজ্যের ৮০টির বেশি জেলায় ৫.৫ কোটি মিলের জোগান দিয়েছে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন। PM-CARES ফান্ড সহ বিভিন্ন তহবিলে ৫৫৬ কোটি টাকা অনুদানও দিয়েছে রিলায়েন্স।