Corona Vaccination Update: প্রথম নয় মিলছে দ্বিতীয় ডোজ, রাজ্যজুড়ে প্রকট ভ্যাকসিন সঙ্কট
শুধু কলকাতা নয়, বিভিন্ন জেলায় দেখা দিয়েছে কোভিড ভ্যাকসিন সংকট।
কলকাতা: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজ্যের কোভিড চিত্র। ভ্যাকসিনের জোগানে সঙ্কট। আজ সরকারি হাসপাতালে বন্ধ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ। শুধু দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভ্যাকসিন যতটা মজুত আছে, তাতে আর দু’দিন চলবে। এর মধ্যে ভ্যাকসিনের জোগান না এলে থমকে যাবে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার প্রক্রিয়াও, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিত্সকদের একাংশ।
দেশজুড়ে ভয়ঙ্কর করোনা। আর তার জেরেই চরমে ভ্যাকসিনের চাহিদা। কিন্তু, যোগান কোথায়? রাজ্যজুড়ে ভ্যাকসিনের চরম সঙ্কট। এরইমধ্যে গত শনিবার স্বাস্থ্য দফতর এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যেহেতু ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত জোগান নেই, তাই আপাতত ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার ওপরই জোর দেওয়া হচ্ছে। ভ্যাকসিনের সরবরাহ স্বাভাবিক হলে, প্রথম ডোজ দেওয়া শুরু হবে।
বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে প্রথম ডোজ যে দেওয়া হবে না, সেই নোটিস দেওয়া হয়েছে। মানিকতলা ইএসআই হাসপাতালে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়নি। অথচ নোটিসও টাঙানো হয়নি। এ নিয়ে সকালে কিছুটা বিক্ষোভ হয়। বেসরকারি হাসপাতালেও আজ বন্ধ আছে টিকাকরণ। স্বাস্থ্যকর্মীদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পর শুরু করা হবে প্রথম ডোজ দেওয়া। এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে।
শুধু কলকাতা নয়, বিভিন্ন জেলায় দেখা দিয়েছে কোভিড ভ্যাকসিন সংকট। মুর্শিদাবাদ থেকে জলপাইগুড়ি, ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হলেন মানুষ। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও পাচ্ছেন না ভ্যাকসিন। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে টিকাকরণ। ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে হয়রানির ছবি ধরা পড়ল জলপাইগুড়ি হাসপাতালেও। পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না থাকায় নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ ভিড় করছেন।
এদিকে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে দূরত্ব-বিধি উপেক্ষা করে কোভিড টেস্টের লাইনে ভিড়।শোনা যাচ্ছে না ঘোষণা। তাই এই পরিস্থিতি বলে দাবি তাঁদের। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে এনআরএস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের সেন্ট্রাল ল্যাবের সামনে এভাবেই কোভিড টেস্টের লাইনে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়ে সবাই। প্রায় একে অপরের ঘাড়ের উপর দাঁড়িয়ে। নেই কোনও নজরদারি।