PM Modi on coronavirus: ৪ মাসের জন্য স্থগিত নিটের স্নাতকোত্তর প্রবেশিকা, কোভিড মোকাবিলায় একগুচ্ছ পরিকল্পনা মোদির
আজ ট্যুইট করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
নয়াদিল্লি: আগামী ৪ মাসের জন্য পিছিয়ে গেল ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্টের স্নাকতোত্তর স্তরের পরীক্ষা। আজ ট্যুইট করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইসঙ্গে করোনা মোকাবিলায় একগুচ্ছ পদক্ষেপের কথাও বলেছেন তিনি।
দেশের করোনা আবহে সংকট দেখা দিয়েছে ডাক্তার ও নার্সের সংখ্যায়। এই সংকট মেটাতে নতুন সিদ্ধান্ত নিল পিএমও । টেলিফোনে চিকিৎসার পরামর্শ দিতে এমবিবিএস-র চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়াদের কাজে লাগানো যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও প্রবীণ চিকিৎসক ও নার্সদের তত্ত্বাবধানে কাজ করতে পারবেন স্নাতকোত্তীর্ণ নার্সরা। যে সমস্ত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ১০০ দিন কোভিড ডিউটি করেছেন তাদের বিশেষ সম্মান দেওয়া হবে। ট্যুইট করে এই সব সিদ্ধান্তের কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী ৩১ অগাস্টের আগে নিটের স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা হবে না। পরীক্ষা ঘোষণা হওয়ার পর পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতির জন্য অন্তত একমাস সময় দেওয়া হবে।
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, যেসব স্বাস্থ্যকর্মীরা একশো দিনের বেশি করোনা সংক্রান্ত কাজ করছেন তাঁদের আগামী সরকারি নিয়োগে প্রাধান্য দেবে কেন্দ্র। বিভাগীয় প্রধান বা বর্ষীয়ান অধ্যাপক তথা চিকিৎসদের তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্যক্ষেত্রের শিক্ষানবিশরা কোভিড ম্যানেজমেন্টে কাজ করতে পারবেন। সামান্য উপসর্গ রয়েছে এমন কোভিড রোগীদের জন্য টেলি মেডিসিনের কাজ করতে পারবে ডাক্তারির চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়ারা। বর্ষীয়ান চিকিৎসক বা নার্সদের তত্ত্বাবধানে বিএস বা জিএনএম উত্তীর্ণ নার্সদের করোনা মোকাবিলায় কাজ করতে হবে। জাতীয় কোভিড পরিষেবা সম্মান দেওয়া হবে একশো দিনের বেশি কাজ করছেন এমন স্বাস্থ্যকর্মীদের।
এদিকে রবিবারের তুলনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু কিছুটা কমলেও ভারতে এখনও বেলাগাম করোনা পরিস্থিতি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সোমবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার ১৪৭ জন। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৪১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৬৮৯। শনিবার একদিনে মৃত্যু হয় ৩ হাজার ৫২৩ জনের। ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২ লক্ষ ১৮ হাজার ৯৫৯ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৯৯ লক্ষ ২৫ হাজার ৬০৪।