AP Covid19 Crisis : করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকের সাহায্যে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, হাসপাতালে দেড় কোটির বিল মেটাবে সরকার
করোনায় সংকটাপন্ন চিকিৎসকের সাহায্যে এগিয়ে এল অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। তাঁর চিকিৎসায় হাসপাতালের খরচা বাবদ দেড় কোটি টাকা মেটানোর ঘোষণা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগনমোহন রেড্ডির।
অমরাবতী : করোনার বিরুদ্ধে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু, এই ডিউটি করতে গিয়ে কখনও কখনও তাঁরাও সংক্রমিত হচ্ছেন, হচ্ছে মৃত্যুও। করোনায় সংকটাপন্ন এমনই এক চিকিৎসকের সাহায্যে এগিয়ে এল অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার। ওই চিকিৎসকের চিকিৎসায় হাসপাতালের খরচা বাবদ দেড় কোটি টাকা মেটানোর ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগনমোহন রেড্ডি।
ভাস্কর রাও। অন্ধ্রপ্রদেশের প্রকাশম জেলার PHC করমচেড়ুর মেডিক্যাল অফিসার। সম্প্রতি করোনায় আক্রান্ত হন তিনি। তাঁর স্ত্রী ভাগ্যলক্ষ্মী। গুন্টুর মেডিক্যাল কলেজের রেডিও ডায়াগনসিস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। তিনিও করোনায় আক্রান্ত হন। গত ৩০ এপ্রিল তাঁদের গুন্টুর GGH-এ ভর্তি করা হয়। তাঁদের রেমডিসিভির দেওয়া হচ্ছিল।
কিন্তু, ভাস্করের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তাঁকে চিকিৎসার জন্য গত ৩ মে বিজয়ওয়াড়ার আয়ুষ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে ৯ মে হায়দরাবাদের সোমাজিগুড়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তিনি ভেন্টলেটরে ছিলেন। এরপর তাঁকে হায়দরাবাদেরই গাছিবৌলি এলাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে উপদেশ দেন, তাঁকে ECMO(এক্সট্রা কর্পোরিয়েল মেমব্র্যান্স অক্সিজেনেশন)-য় রাখতে হবে। এবং ফুসফুস প্রতিস্থাপনের কথা বলা হয়। কিন্তু, এর খরচা বাবদ দেড় কোটি টাকা পড়বে। এই পরিমাণ খরচ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।
তাঁর এই অবস্থার কথা মন্ত্রী বালিনেনি শ্রীনিবাস রেড্ডির কাছে জানতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগনমোহন রেড্ডি। এর পরই তিনি আধিকারিকদের নির্দেশ দেন, ওই চিকিৎসক যেন ভাল চিকিৎসা পান। তাঁর চিকিৎসার খরচ বহন করবে সরকার।
মুখ্যমন্ত্রীর এই পদেক্ষেপের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানায় অন্ধ্রপ্রদেশ চিকিৎসক সংগঠন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পিদাকলা শ্যামসুন্দর বলেন, এই সিদ্ধান্ত রাজ্যের সরকারি চিকিৎসকদের নিশ্চয়তা দিয়েছে। পাশাপাশি এই অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তিও জোগাবে।
প্রসঙ্গত, অন্ধ্রপ্রদেশে করোনা সংক্রমণের হার ধীরে ধীরে কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন করে ১০ হাজার ৪১৩ জন সংক্রমিত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।