এক্সপ্লোর
Advertisement
দফায় দফায় বাধা, অবশেষে মাঝরাতে শেষকৃত্য সম্পন্ন করোনায় মৃত ব্যক্তির
নিমতলা শ্মশানেও বাধা তৈরি হয় শবদাহে। শুরু হয় অশান্তি। মৃতদেহ সৎকারে বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারপর...
সাত দিনের লড়াইয়ের পর সোমবার সল্টলেকের হাসপাতালে মৃত্যু হয় দমদমের করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ়ের। করোনায় রাজ্যে এটাই প্রথম মৃত্যু। এখন দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০।
১৬ তারিখ থেকে জ্বর ও কাশির উপসর্গ নিয়ে সল্টলেকের আমরি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন দমদমের বাসিন্দা ৫৭ বছরের ওই রেল কর্মী। হাসপাতাল সূত্রে খবর,
ছিলেন ভেন্টিলেশনে। সোমবার দুপুর ৩টে ৩৫ মিনিটে ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থাতেই হৃদরোগেআক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
মৃত্যুর পর হাসপাতাল থেকে আরও জানানো হয়, মৃতের দেহ দেওয়া হবে না পরিবারের হাতে।মৃতদেহ সৎকার করা হবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে।
জানানো হয়, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী, চূড়ান্ত সতর্কতার সঙ্গে দেহ ওয়ার্ডে থেকে বের করে শেষকৃত্যে নিয়ে যেতে হবে। দেখতে হবে, শরীর থেকে কোনও ভাবে যাতে রস গড়িয়ে না পড়ে। লিক প্রুফ প্যাকেটে বিশেষ রাসায়নিক দিয়ে সিল করে নিয়ে যেতে হবে দেহ। না ছুঁয়ে সত্কারের সময় ধর্মীয় আচার পালন করতে হবে বন্ধ ব্যাগের ওপর থেকে। তবে শেষকৃত্যের পর সংগ্রহ করা যাবে ছাই।
কিন্তু মৃত ব্যক্তির শেষকৃত্য ঘিরে একের পর এক জটিলতা সৃষ্টি হয়।
প্রথমে শবদেহবাহী শকট পাওয়া যায়নি। কোনও চালক মৃতদেহ পৌঁছে দিতে চাননি বাড়িতে। শেষপর্যন্ত পুলিশের উদ্যোগে বিধাননগর পুরসভার তরফে গাড়ি পাঠানো হয়।
তারপর নিমতলা শ্মশানেও বাধা তৈরি হয় শবদাহে। শুরু হয় অশান্তি। মৃতদেহ সৎকারে বাধা দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অশান্তির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় কাউন্সিলর। জনতাকে হঠাতে পুলিশকে লাঠিচার্জও করতে হয়।
অবশেষে পুরসভার উদ্যোগে সোমবার মাঝরাতে করোনায় আক্রান্ত দমদমের বাসিন্দার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। যে ২ জন সৎকারের কাজ করেন তাদের ব্যক্তিগত ভাবে পুরস্কৃত করবেন বলে জানিয়েছেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
খবর
খবর
Advertisement