Titanic Expedition: আশা নেই আর, টাইটানিক পথে টাইটানও? ধ্বংসাবশেষ মেলার ইঙ্গিত
Titan Submarine: গত রবিবার যাত্রা শুরু করেছিল এই ডুবোজাহাজ। সেই সময়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, চারদিন পর্যন্ত নিঃশ্বাস নেওয়ার মতো অক্সিজেন বজায় থাকবে এই ডুবোজাহাজে।
Titanic Expedition: সমুদ্রের গভীর নিখোঁজ হয়েছে আস্ত একটা ডুবোজাহাজ। রয়েছেন পাঁচজন যাত্রীও। তন্নতন্ন করে চলছে তল্লাশি। কার্যত খুঁড়ে ফেলা হচ্ছে সমুদ্রের তলদেশ। এরই মধ্যে মার্কিন উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে টাইটানিকের কাছে যেখানে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছিল সেখানে একটি ডেব্রিস ফিল্ড খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। অর্থাৎ কিছুটা এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে ধ্বংসাবশেষ। তবে এই ডেব্রিস ফিল্ড বা ধ্বংসাবশেষ হারিয়ে যাওয়া ডুবোজাহাজেরই কিনা সেই প্রসঙ্গে নিশ্চিত ভাবে কিছু জানা যায়নি এখনও।
A debris field was discovered within the search area by an ROV near the Titanic. Experts within the unified command are evaluating the information. 1/2
— USCGNortheast (@USCGNortheast) June 22, 2023
টাইটানিকের কাছে 'ডেব্রিস ফিল্ডে' কী কী খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, সেই সম্পর্কে বিশদে আলোচনা করার জন্য ব্রিটেনের স্থানীয় সময় অনুসারে আজ রাত ৮টায় একটি কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছে। একটি remotely operated vehicle যা হরাইজন আর্কটিক সমুদ্রের তলদেশে পাঠিয়েছিল তল্লাশি অভিযান চালানোর জন্য, তার মাধ্যমে এই ডেব্রিস ফিল্ডের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, এই হরাইজন আর্কটিক হল একটি কানাডিয়ান ভেসেল। এর সাহায্যেই জলের নীচে ওই আরওভি পাঠানো হয়েছিল। এই আরওভি- র মধ্যে রয়েছে ক্যামেরা এবং সোনার। সমুদ্রগর্ভে সফলভাবে পৌঁছতে পেরেছিল এই আরওভি।
সমুদ্রের অতিরিক্ত গভীরতা, জলের উচ্চ চাপই কি তাহলে কাল হল?
ডেব্রিস ফিল্ড অর্থাৎ ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পাওয়া কখনই সুখবর নয়। বরং বেশ আতঙ্কের এবং উদ্বেগের। কারণ জলের যে গভীরতায় এই ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, সেখানে জলের মারাত্মক চাপ থাকে। তার ফলে সাবমেরিনে মারাত্মক ক্ষতি হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। আর এখানে টাইটান যে ধরনের সাবমেরিন তা জলের ৪০০০ মিটার (১৩,১২৩ ফুট) গভীরে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, হয়তো খারাপ কিছুই ঘটেছে। জলের অত গভীর প্রবল চাপে ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে সাবমেরিন টাইটান, এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞদের অনেকে। তবে নিশ্চিত কোনও তথ্য প্রকাশ্যে না আসায় একটু হলেও আশা রয়েছে।
আটলান্টিক মহাসাগরর ১২ হাজার ৫০০ ফুট গভীরে পড়ে রয়েছে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ। রবিবার যে ডুবোজাহাজটি তার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল, সেটির নাম 'টাইটান সাবমার্সিবল'। সেটির দৈর্ঘ্য ২২ ফুট। ওজন ১০ হাজার ৪৩২ কেজি। একটানা ৯৬ ঘণ্টা পাঁচ সওয়ারিকে নিয়ে রওনা দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
আরও পড়ুন- কর্মসূত্রে প্রচুর বাইরে যেতে হয়? নজরে থাকুক এই বিষয়গুলি