Delhi Earthquake: উৎসস্থল নেপাল, কম্পনের ধাক্কায় টলে উঠল দিল্লি-এনসিআর
Delhi Earthquake:গাঁধীজয়ন্তীর ঠিক পর দিন ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দিল্লি-এনসিআর। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির হিসেব বলছে, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.২।
নয়াদিল্লি: গাঁধীজয়ন্তীর (Gandhi Jayanti 2023) ঠিক পর দিন ভূমিকম্পে (Delhi NCR Earthquake) কেঁপে উঠল দিল্লি-এনসিআর। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির হিসেব বলছে, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.২। উৎসস্থল নেপাল (Nepal)। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫ কিলোমিটার নিচে। সেই কম্পনের জেরে টলোমলো হয়ে ওঠে দিল্লি-এনসিআরও।
কী পরিস্থিতি?
শনি-রবিবারের পর গাঁধীজয়ন্তীর ছুটি। সব মিলিয়ে নেহাৎ ছোট ছুটি নয়। সেই ছুটির মেজাজ কাটিয়ে সবে কাজের ছন্দে ফিরছিল রাজধানী। তার মধ্যে ছন্দপতন। হঠাৎ যেন আকাশ-পাতাল কাঁপিয়ে দুলতে শুরু করল অফিস-কাছারি। এক বার নয়, পর পর দু'বার। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির হিসেব অনুযায়ী, দু'টি ভূমিকম্পের উৎসস্থলই নেপাল। এর মধ্যে প্রথমটির ধাক্কা টের পাওয়া যায় বেলা ২টো ২৮ মিনিটে, পরেরটির অভিঘাত মালুম হয় ২টো ৫১ মিনিটে। রিখটার স্কেলে প্রথমটির মাত্রা ছিল ৪.৬, পরেরটির মাত্রা ছিল ৬.২। দ্বিতীয় কম্পনের জের প্রায় গোটা উত্তর ভারত-জুড়ে অনুভূত হয়েছে। তালিকায় রয়েছে, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং অবশ্য়ই ন্যাশনাল ক্যাপিটল রিজিয়ন।
মাটি-অফিসে কম্পন অনুভূত হতেই অফিস দিল্লি এনসিআর এলাকায় হইচই পড়ে যায়। গুরুগ্রাম এবং নয়ডাতেও হইচই শুরু হয়। অনেকে দুলতে থাকা ফ্যান এবং লাইটের ছবি সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করতে থাকেন। অফিস থেকে বেরোনোর তাড়াহুড়ো শুরু হয়ে যায়। এমনকি সেন্ট্রাল দিল্লিতে, নির্মাণ ভবনের বাইরে বেরিয়ে এসে পরিস্থিতি দেখতে বাধ্য হন স্বয়ং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। বহু অফিসে সাইরেন বাজতে শুরু করে। সব মিলিয়ে যেন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি। ছুটির মেজাজ কাটিয়ে কাজে ফেরা রাজধানী শহরের ছবিটা কয়েক মুহূর্তের মধ্যে যেন আমূল বদলে যায়।
আর যা...
দিল্লি থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দূরে, লখনৌ-তেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। কেঁপে উঠেছে দেহরাদুন-ও, যা কিনা রাজধানী থেকে আড়াইশো কিলোমিটার দূরে। এর আগে, গত মার্চেও ভূমিকম্প টের পাওয়া গিয়েছিল রাজধানী শহরে। সেই কম্পনের তীব্রতা রিখটার স্কেলে ছিল ২.৭। উৎসস্থল ছিল আফগানিস্তান। এদিকে গত কাল অর্থাৎ সোমবারই জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। ঘড়িতে তখন সন্ধে ৬.১৫। কেঁপে ওঠে জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের একাংশ। তবে সেই কম্পনের উৎসস্থল ছিল মায়ানমার, রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৫.১। কম্পন অনুভূত হয় চিন, নেপাল, ভূটান, বাংলাদেশের একাংশেও। আশার কথা একটাই। গত কালের কম্পন কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর সে ভাবে মেলেনি।
আরও পড়ুন:রক্ষাকবচ তুলে নেওয়ার হুঁশিয়ারি, কানাডার ৪১ জন কূটনীতিককে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ