(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
৫০ দিনের ভেন্টিলেশন, ৮৮ দিন NICU-তে ! ৬২০ গ্রামের শিশুকে নতুন জীবন দান চিকিৎসকদের
Micro-Preemie Baby Girl: ২০২৩ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর মুম্বইয়ের বাসিন্দা জয়প্রকাশের স্ত্রী সন্তোষের গর্ভাবস্থার ২১ তম সপ্তাহে আচমকা মূত্রনালীর সংক্রমণ দেখা যায়।
মালাদ: মাত্র ২৩ সপ্তাহে একটি শিশুকে পৃথিবীর আলো দেখিয়ে বিরল কৃতিত্বের নজির গড়লেন মালাদের ক্লাউডনাইন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। হাসপাতালে সূত্রে জানা গেছে, প্রি-ম্যাচিওরড অবস্থায় জন্ম নেওয়া ওই শিশুকন্যার ওজন এক কিলোরও কম। মাত্র ৬২০ গ্রাম।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য মাইক্রো-প্রেমী শিশুরা (micro-preemie baby girl) হল একধরনের জন্ম নেওয়া শিশু। জন্মের সময় যাদের ওজন থাকে এক কিলোগ্রামের কম
চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে ৩০ সেপ্টেম্বর মুম্বইয়ের বাসিন্দা জয়প্রকাশের স্ত্রী সন্তোষের গর্ভাবস্থার ২১ তম সপ্তাহে আচমকা মূত্রনালীর সংক্রমণ দেখা যায়। বিষয়টি জানতে পারার পরেই তড়িঘড়ি তাঁকে মালাদের ক্লাউডনাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে কিছুদিন সন্তোষের চিকিৎসা চলার পর ২৪ সপ্তাহের ঠিক একদিন আগে নর্মাল ডেলিভারি হয় সন্তোষের। ইয়াহভি নামে একটি ফুটফুটে শিশুকন্যার জন্ম দেন তিনি। জন্মের সময় প্রি-ম্যাচিওড অবস্থায় জন্ম নেওয়া ইয়াহাভির ওজন ছিল মাত্র ৬২০ গ্রাম।
সময়ের অনেক আগেই জন্ম নেওয়ার কারণে হালকা সংক্রমণের পাশাপাশি শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখা গেছিল ইয়াহাভির। যার জেরে তাকে ৪৪ দিনের জন্য ওই হাসপাতালের নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (NICU)-এ ভর্তি রাখা হয়েছিল। এই বিষয়ে চিকিৎসারা একটি বিবৃতি দিয়ে বলেন যে ওই শিশু কন্যাকে ৫০ দিন ধরে ভেন্টিলেটর সার্পোটে রাখা হয়েছিল।
সেখানে শিশুটির শ্বাসপ্রশ্বাসের সমধান করার পাশাপাশি তার ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য দেওয়া হয়েছিল ওষুধও। মায়ের বুকের দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ফিডিং টিউবের মাধ্যমে তার শরীরে লিপিড ও গ্লুকোজ যুক্ত প্যারন্টেরাল পুষ্টি সরবরাহ করা হচ্ছিল।
এপ্রসঙ্গে মালাডের ক্লাউডনাইন গ্রুপ অফ হসপিটালের পরামর্শদাতা নিওনাটোলজিস্ট ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ তনুশ্রী মুখার্জি বলেন, ইয়াহাভির মতো ছোট বাচ্চাদের এই ধরনের পরিস্থিতিকে মাইক্রো প্রিমি বলে উল্লেখ করা হয়। এই ধরনের ফুসফুসের রোগ বা ব্রঙ্কোপলমোনারি ডিসপ্লাসিয়ার জন্য সংবেদনশীল৷ ইয়াহাভির ক্ষেত্রে, তার শরীরে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য এবং দৈহিক বিকাশে সাহায্য করার জন্য ভেন্টিলেশনের রাখার প্রয়োজন ছিল যাতে ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ে। আর তা স্বাভাবিক ভাবে কাজ করতে ও শ্বাস নিতে সাহায্য করে। ইয়াহাভিকে দুটি রক্ত দেওয়া হয়েছিল কারণ মাইক্রো প্রিমীদের শরীরের হিমোগ্লোবিন কম থাকে এবং তাদের অস্থিমজ্জা এখনও পরিপক্ষ হয়। এছাড়া ওই ছোট্ট শিশুকন্যার মাথায় রক্তক্ষরণ আটকানোর জন্য একটি ছোট অপারেশন করা হয়। যা আল্ট্রা সোনোগ্রাফির মাধ্যমে ধরা পড়েছিল।
এপ্রসঙ্গে মালাডের ক্লাউডনাইন গ্রুপ অফ হসপিটালের পরামর্শদাতা নিওনাটোলজিস্ট ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ তনুশ্রী মুখার্জি বলেন, ইয়াহাভির মতো ছোট বাচ্চাদের এই ধরনের পরিস্থিতিকে মাইক্রো প্রিমি বলে উল্লেখ করা হয়। এই ধরনের ফুসফুসের রোগ বা ব্রঙ্কোপলমোনারি ডিসপ্লাসিয়ার জন্য সংবেদনশীল৷ ইয়াহাভির ক্ষেত্রে, তার শরীরে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য এবং দৈহিক বিকাশে সাহায্য করার জন্য ভেন্টিলেশনের রাখার প্রয়োজন ছিল যাতে ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ে। আর তা স্বাভাবিক ভাবে কাজ করতে ও শ্বাস নিতে সাহায্য করে। ইয়াহাভিকে দুটি রক্ত দেওয়া হয়েছিল কারণ মাইক্রো প্রিমীদের শরীরের হিমোগ্লোবিন কম থাকে এবং তাদের অস্থিমজ্জা এখনও পরিপক্ষ হয়। এছাড়া ওই ছোট্ট শিশুকন্যার মাথায় রক্তক্ষরণ আটকানোর জন্য একটি ছোট অপারেশন করা হয়। যা আল্ট্রা সোনোগ্রাফির মাধ্যমে ধরা পড়েছিল।
শিশুটিকে ৮৮ দিন বাদে হাসপাতাল থেকে যখন ছাড়া হয় তখন তার ওজন বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ২.২ কেজিতে। বর্তমানে সে মায়ের দুধ খাওয়ার পাশাপাশি অক্সিজেন সাপোর্ট ছাড়াই থাকতে পারছে। বর্তমানে তাঁর সাত মাস বয়স এবং তার হেয়ারিং টেস্ট, আল্ট্রাসোনোগ্রাফি ও রক্ত পরীক্ষায় কোনও অসংগতি ধরা পড়েনি।
আরও পড়ুন: India News: স্ত্রীকে ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ বলার অপরাধে ৩ কোটি টাকা জরিমানা