DRDO: মধুচক্রের ফাঁদে পড়লেন DRDO-র বিজ্ঞানী! সুন্দরী মহিলা ভেবে পাক গুপ্তচরকে তথ্য পাচার, হলেন গ্রেফতার
DRDO Scientist Arrested: একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র থেকে ভারতীয় প্রতিরক্ষা কৌশল সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে যুক্ত ছিলেন ওই বিজ্ঞানী। DRDO-র অন্যতম অভিজ্ঞ বিজ্ঞানীদের মধ্যে তিনি অন্যতম ছিলেন।
নয়াদিল্লি: প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গবেষণার কাজে নিযুক্ত। মধুচক্রের ফাঁদে পড়লেন সেই বিজ্ঞানীই। গোটা ঘটনায় হতবাক পুলিশ থেকে গোয়েন্দারা। প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংগঠনে (DRDO) কর্রত ওই বিজ্ঞানীকে গ্রেফতার করা হল। তিনি পাকিস্তানকে গোপন তথ্য সরবরাহ করছিলেন বলে অভিযোগ। মহারাষ্ট্র সন্ত্রাস দমন শাখা তাঁকে গ্রেফতার করেছে (DRDO Scientist Arrested)।
একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র থেকে ভারতীয় প্রতিরক্ষা কৌশল সংক্রান্ত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে যুক্ত ছিলেন ওই বিজ্ঞানী। DRDO-র অন্যতম অভিজ্ঞ বিজ্ঞানীদের মধ্যে তিনি অন্যতম ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এক পাকিস্তানি গুপ্তচরের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ গড়ে উঠেছিল বলে অভিযোগ। গোপনে ওই পাকিস্তানি গুপ্তচরকে তিনি গোপন তথ্যও সরবরাহ করেছেন বলে সামনে এসেছে।
তদন্তকারী গোয়েন্দাদের দাবি, মধুচক্রে ফাঁসানো হয় ওই বিজ্ঞানীকে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম মারফত সুন্দরী মহিলার ছবি দেখিয়ে ফাঁসানো হয় তাঁকে। তার পর হোয়াটসঅ্যাপ এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগাযোগ বাড়ে। ভয়েস মেসেজেও কথোপকথন হয়। তাতেই গত বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবর নাগাদ ভারতীয় প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত একাধিক গোপন এবং স্পর্শকাতর তথ্য ওই বিজ্ঞানী পাকিস্তানি গুপ্তচরের হাতে তুলে দেন বলে জানা গিয়েছে। একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে কী কী ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, তা গোপন রাখা হয়েছে।
🔴Pradeep Kurulkar, the Director of the Research & Development Establishment (Engineers), a key facility of the #DRDO in #Pune, has been arrested for sharing sensitive information With #Pakistan Intelligence Operative. Kurulkar has worked on several strategically significant… pic.twitter.com/myFTghwogc
— IDU (@defencealerts) May 4, 2023
DRDO-তে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন ওই বিজ্ঞানী। বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মহারাষ্ট্র সন্ত্রাস দমন শাখার তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, 'ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন ওই বিজ্ঞানী। গোপন তথ্য় শত্রুপক্ষের হাতে গেলে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তা জানতেন উনি। তার পরেও নিজের দখলে থাকা গোপন তথ্য শত্রুদেশের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন'। এ নিয়ে মহারাষ্ট্র সন্ত্রাস দমন শাখার কালাচৌকি ইউনিটে মামলা দায়ের হয়েছে। ঠিক কী কী তথ্য হাতবদল হয়ে থাকতে পারে, তাতে কতটা ঝুঁকি রয়েছে, তা নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে।
মহারাষ্ট্র সন্ত্রাস দমন শাখার একটি সূত্র জানিয়েছে, DRDO থেকই তথ্যপাচার নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছিল। তার পরই তদন্ত শুরু হয়। বুধবার প্রথমেই গ্রেফতার করা হয় ওই বিজ্ঞানীকে। বৃহস্পতিবার পুণের একটি আদালতে তোলা হয়। আপাতত তাঁকে হেফাজতে নিয়েছে মহারাষ্ট্র সন্ত্রাস দমন শাখা। DRDO-র তরফেও তদন্তে সহযোগিতা করা হচ্ছে।