BBC Probed: গুজরাত নিয়ে তথ্যচিত্রের জের! BBC-র বিরুদ্ধে ফের মামলা, বিদেশি মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ
FEMA: এর আগে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লি এবং মুম্বইয়ে BBC-র দফতরে তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর।
নয়াদিল্লি: BBC-র বিরুদ্ধে ফের মামলা দায়ের। এ বার বিদেশি মুদ্রা আইনে মামলা (FEMA)। মামলা দায়ের করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। তারা বিদেশি মুদ্রা আইন লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ। দু'সপ্তাহ আগে মামলা দায়ের করা হয়। BBC-র ছয় কর্মীকে করা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদও। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ভারতে BBC-র এক ডিরেক্টরকেও। তা নিয়ে ফের বিতর্ক শুরু হয়েছে।
বিদেশি মুদ্রা আইনের আওতায় মামলা
ভারতীয় বিদেশি মুদ্রা আইনের আওতায় মামলা করা হয়েছে BBC-র বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে সংস্থার আধিকারিকদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবারও সংস্থার এক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে ED. তাঁকেও কিছু নথিপত্র সঙ্গে আনতে বলে হয়েছে। বিদেশি অনুদান আইনের বিধি লঙ্ঘন করে BBC বিদেশি মুদ্রার লেনদেন করেছে বলে অভিযোগ।
এর আগে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দিল্লি এবং মুম্বইয়ে BBC-র দফতরে তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর। মূল্য বিধি লঙ্ঘন করার পাশাপাশি, কর ফাঁকি দিয়ে লাভের টাকা ঘুরপথে অন্যত্র পাঠানোর অভিযোগ তোলা হয় সে বার। আয়কর আইনের ১৩৩A ধারায় তল্লাশি চালানো হয়। এর আওতায় কোনও সংস্থার সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা যায়। BBC-র ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্ট, হাতে থাকা নগদ, গুরুত্বপূর্ণ নথি ঘেঁটে দেখা হয়।
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: ফের মানহানি মামলা রাহুলের বিরুদ্ধে, দাদুর ‘অসম্মানে’ পদক্ষেপ সাভারকর-পৌত্রের
যদিও BBC-র দফতরে হানা, মামলার নেপথ্যে সরকারের অন্য অভিসন্ধি রয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের। তাদের মতে, গত ১৭ জানুয়ারি গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করে BBC, যার শিরোনাম ছিল, 'India: The modi Question'। ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গায় রাজ্যের তৎকালীন মুখ্য়মন্ত্রী তথা অধুনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা তুলে ধরা হয় তাতে।
গুজরাত তথ্যচিত্র ঘিরে বিতর্ক
ওই তথ্যচিত্র নিয়ে গোড়া থেকেই দিল্লির রোষে পড়েছে BBC. গত ২০ জানুয়ারি, ইউটিউব এবং ট্যুইটার থেকে BBC-র তথ্যচিত্রের সব লিঙ্ক নিষিদ্ধ করতে নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। কোনও ভাবে যাতে লিঙ্ক শেয়ার না করা যায়, কড়া নির্দেশ দেওয়া হয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মগুলিকে। দিল্লির যুক্তি ছিল, ওই তথ্য চিত্র ভারতের সার্বভৌমিকতা এবং অখণ্ডতার পরিপন্থী। দেশের আইনশৃঙ্খলা থেকে পররাষ্ট্র সম্পর্কেও ওই তথ্যচিত্র নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে দাবি করা হয়। ব্রিটেনের পার্লামেন্টেও ওঠে বিষয়টি।