Raghav Chadha: পরিণীতির সঙ্গে বিয়ের তোড়জোড়, তার মধ্যেই বিপাকে সাংসদ রাঘব, নাম জড়াল আবগারি দুর্নীতিতে
Delhi Liquor Policy Case: ইডি সূত্রে খবর, মণীশ সিসৌদিয়ার প্রাক্তন সচিব সি অরবিন্দকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তাতেই রাঘবের নাম উঠে এসেছে।
নয়াদিল্লি: অভিনেত্রীর সঙ্গে তাঁর বিয়ের প্রসঙ্গ পৌঁছেছে সংসদেও (Parineeti Chopra)। সেই আবহেই দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় নাম জড়াল আম আদমি পার্টির (AAP) সাংসদ রাঘব চাড্ডার (Raghav Chadha)। দিল্লি সুরা আবগারি নীতি মামলায় (Delhi Liquor Policy Case) দ্বিতীয় অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। আর তাতেই নাম রয়েছে রাঘবের।
দ্বিতীয় চার্জশিটে নাম উঠল রাঘবের
ইডি সূত্রে খবর, মণীশ সিসৌদিয়ার প্রাক্তন সচিব সি অরবিন্দকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তাতেই রাঘবের নাম উঠে এসেছে। সি অরবিন্দ জানিয়েছেন, দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবনে যে বৈঠক হয়েছিল, সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাঘবও। এ ছাড়াও, পঞ্জাবের প্রাক্তন আবগারি কমিশনার বরুণ রুজম, বিজয় নায়ার এবং পঞ্জাব শুল্ক ডিরেক্টরেটের আধিকারিকদের নামও উঠে এসেছে।
যদিও রাঘব জানিয়েছেন, অভিযুক্ত হিসেবে চার্জশিটে নাম নেই তাঁর। রাঘবের বক্তব্য, "অভিযুক্ত অথবা সন্দেহভাজন হিসেবে আমার নাম নেওয়া হয়নি। অভিযোগপত্রে আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। কোনও মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলাম, এইটুকুই শুধু বলা হয়েছে।"
এর আগে, প্রথম অতিরিক্ত চার্জশিটে অতি সম্প্রতিই মণীশের নাম যুক্ত করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। অভিযুক্ত হিসেবেই তাতে নাম রয়েছে মণীশের। ফেব্রুয়ারি মাসেই মণীশকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাতে রাঘবের নাম উঠে আসায় আরও জোর পেল বিতর্ক। কারণ অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে এই মুহূর্তে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। চলতি বছরের শেষের দিকে তাঁরা সাতপাকে বাঁধা পড়তে পারেন বলেও খবর।
আরও পড়ুন: Aurora in Ladakh: আকাশ উদ্ভাসিত 'বিরল' অরোরায়, উত্তর মেরুর 'আলোর ঝলক' এবার লাদাখে
দিল্লি আবগারি দুর্নীতি নিয়ে যদিও প্রতিহিংসার রাজনীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ আম আদমি পার্টির। তদন্তকারীদের দাবি, ২০২১-’২২ সালে হাতেগোনা কিছু সুরা ব্যবসায়ীকে সুবিধা করে দিতে আবগারি নীতিতে রদবদল ঘটানো হয়। তার পরিবর্তে বিপুল টাকার ঘুষ নেন দিল্লি সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ আম আদমি পার্টির
এই অভিযোগ থেকে রক্ষা পাননি খোদ কেজরিওয়ালও। তাঁর প্রাক্তন ডেপুটি মণীশ। ইডি-র দাবি, আবগারি নীতিতে রদবদল ঘটানোর সিদ্ধান্তে কেজরিওযালেরই মস্তিষ্কপ্রসূত। তাঁর বাসভবনে আয়োজিত বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ নিয়ে কেজরিওয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কেজরিওয়াল। তাঁর দাবি, দিল্লির বিধানসভা থেকে পৌরসভা, সব ক্ষেত্রেই পরাজিত হয়েছে বিজেপি। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনেো অশনি সঙ্কেত দেখছে তারা। তাই বিরোধীদের কোণঠাসা করতেই ইডি-সিবিআই জুজু দেখানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Fennel Seeds: ওজন কমাতে কীভাবে সাহায্য করে মৌরী? রোজের মেনুতে উপকরণ রাখলে আর কী কী উপকার পাবেন?