World News:চিনের মার্কিন রাষ্ট্রদূত ই-মেল অ্যাকাউন্ট হ্যাকের অভিযোগ, সন্দেহের তির চিনা হ্যাকারদের বিরুদ্ধে
Email Accounts Of US Ambassador To China Hacked: চিনের মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকোলাস বার্নসের ই-মেল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার অভিযোগ উঠল চিনা হ্যাকারদের বিরুদ্ধে।
ওয়াশিংটন: ফের বেজিংয়ের (Beijing) বিরুদ্ধে গোপন তথ্য় হাতানোর অভিযোগ আনল ওয়াশিংটন (Washington)। এবার চিনের মার্কিন রাষ্ট্রদূত (US Ambassador To China) নিকোলাস বার্নসের ই-মেল অ্যাকাউন্ট হ্যাক (Email Accounts Hacked) করার অভিযোগ উঠল চিনা হ্যাকারদের (Chinese Hackers) বিরুদ্ধে। মার্কিন আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে এই দাবি করেছে আমেরিকার খবরের চ্যানেল সিএনএন।
কী অভিযোগ?
মার্কিন আধিকারিকদের আরও অভিযোগ, পূর্ব এশিয়ায় আমেরিকার সহকারী বিদেশসচিব ড্যানিয়েল ক্রিটেনব্রিঙ্কের ইমেল অ্যাকাউন্টেও হানা দেওয়া হয়। ক্রিটেনব্রিঙ্ক হালেই মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে চিন-সফরে এসেছিলেন। বেজিংয়ের বিরুদ্ধে মার্কিন উচ্চপদস্থ কর্তাব্যক্তিদের ইমেল হ্যাক করার অভিযোগ নতুন নয়। জুনে ব্লিঙ্কেনের চিন-সফরের আগেই মার্কিন বাণিজ্যসচিব জিনা রাইমন্ডো-সহ একাধিক আধিকারিকের ইমেলে হানা চালায় চিনা হ্যাকাররা, দাবি মার্কিন সংবাদমাধ্যমের। বস্তুত, মাইক্রোসফট অতীতে দাবি করেছিল, আমেরিকার গোপন তথ্য হাতানোর জন্য মার্কিন সরকারি ইমেল অ্যাকাউন্টগুলি হ্যাক করার চেষ্টা করছে চিনা হ্যাকাররা।
নির্দিষ্ট লক্ষ্য...
যে কোনও অ্যাকাউন্ট নয়, হানাদাররা একেবারে নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে বেছে বেছে 'হামলা' চালিয়েছে মার্কিন প্রশাসন সূত্রে খবর। এমন অ্যাকাউন্টই নির্দিষ্টভাবে হ্যাক করা হয়েছে যেখানে বিশেষ কোনও তথ্য় থাকতে পারে। প্রসঙ্গত, এমনই এক ধরনের হানার কথা মার্কিন বিদেশ দফতর গত ১৬ জুন জানতে পেরেছিল। আমেরিকার বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের চিন-সফরের ঠিক আগেই বিষয়টি গোচরে আসে আমেরিকার। তখনই তা মাইক্রোসফটকে জানিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। ঘটনার দিন বিকেলেই চিনে উড়ে গিয়েছিলেন ব্লিঙ্কেন। ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট এল ইয়েলেন এর পরই বেজিং যান। ঘটনা হল, গত নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং স্থির করেছিলেন যে দু'দেশের সম্পর্কে স্থিতাবস্থা ফেরাতে হবে। কিন্তু পেন্টাগনের তরফে বেজিংয়ের স্পাই-বেলুন গুলি করে নামানোর ঘটনা দাবি করা হলে সেই উদ্যোগ ধাক্কা খায়। গত ফেব্রুয়ারির ওই ঘটনার পর থেকে ফের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে দু'দেশের মধ্যে উত্তেজনা। চিন দাবি করেছিল, ওই বেলুনটি গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। শুধু মার্কিন মুলুক নয়, বেলুনের হদিশ মিলেছিল লাতিন আমেরিকার আকাশেও। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল, বেলুনগুলি সাধারণ নয়। তার মধ্যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি লাগানো রয়েছে। ফলে সেগুলি গুলি করে নামাতেও নানারকম আশঙ্কা ছিল। তবে এসবের মধ্যে কূটনৈতিক তরজা শুরু হয়ে যায়। বিষয়টি পুরোপুরি স্তিমিত হওয়ার আগেই হ্যাকার-হানার অভিযোগ।
আরও পড়ুন:'সারা দেশবাসী লজ্জিত...কখনও মাফ করা হবে না', কড়া প্রতিক্রিয়া মোদির