Ethan Guo: দেড়মাস ধরে আন্টার্কটিকায় আটকে তরুণ, পৃথিবীর শেষ প্রান্ত থেকে আইনি লড়াই রাষ্ট্রের সঙ্গে
Stranded in Antarctica: আমেরিকার নাগরিক ইথান গুও-র বয়স মাত্র ১৯ বছর।

নয়াদিল্লি: মহৎ লক্ষ্য নিয়ে বাড়ি ছেড়েছিলেন। ছোট্ট বিমানে চেপে বেরিয়ে পড়েছিলেন অজানার উদ্দেশে। কিন্তু কৈশোর না পেরনো তরুণ এখন খবরের শিরোনামে। কারণ গত দেড় মাস ধরে আন্টার্কটিকায় আটকে রয়েছেন তিনি। পৃথিবীর একেবারে শেষপ্রান্তে শুধু আটকেই নেই ওই তরুণ, সেখানে বসেই অন্য দেশের সরকারের সঙ্গে আইনি লড়াই লড়তে হচ্ছে তাঁকে। (Ethan Guo)
আমেরিকার নাগরিক ইথান গুও-র বয়স মাত্র ১৯ বছর। ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে তরুণদের কাছে পরিচিত তিনি। নিজের পরিবারের সদস্যদের ক্যান্সারের সঙ্গে যুঝতে দেখেছেন ইথান। ক্যান্সারের গবেষণায় গতি আনতে তাই ১ মিলিয়ন ডলার জোগাড়ে উদ্যত হন। সেই মত চলতি বছরের জুন মাসে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন ইথান। (Stranded in Antarctica)
মাত্র ১৩ বছর বয়স থেকেই বিমান ওড়ান ইথান। ১৭ বছর বয়সে প্রাইভেট পাইলট হিসেবে লাইসেন্সও পেয়ে যান তিনি। ৭০০ ঘণ্টা বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা ছিল তাঁর। তিন-তিন বার পেরিয়েছেন আটলান্টিক মহাসাগরও। আমেরিকার ৪৮টি অঙ্গরাজ্যই বিমান উড়িয়ে ঘুরে ফেলেছেন।
ক্য়ান্সারের গবেষণার জন্য টাকা তুলতে ছয় মহাদেশকে ছোঁয়ার পরিকল্পনা ছিল ইথানের, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়া। শিশুদের ক্যান্সার হাসপাতালে গিয়ে মারণ রোগ সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলাও লক্ষ্য ছিল তাঁর।
সেই মতোই সিঙ্গল ইঞ্জিনের ছোট বিমান নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ইথান। বিমান থেকেই সরাসরি সম্প্রচার করতে থাকেন, যার নিরিখে স্পনসররা গবেষণার টাকা জোগান। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইথানের লক্ষ লক্ষ অনুরাগীও মুক্তহস্তে দান করে, তাঁকে উৎসাহ জোগান লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য।
View this post on Instagram
এই পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই চলছিল, কিন্তু জুন মাসের শেষ দিকে আন্টার্কটিকায় অবতরণ করাতেই বিপাকে পড়েন ইথান। আন্টার্কটিকার যে জায়গায় নামেন তিনি, সেটি চিলের অধীনে পড়ে। সেখানে অবতরণের জন্য ইথান চিলে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নেননি বলে অভিযোগ ওঠে। এর ফলে, সেখান থেকে বেরনোর অনুমতি আর পাননি ইথান। বিমান আটকে রয়েছে বরফে। তিনি ঠাঁই নিয়েছেন আন্টার্কটিক আউটপোস্টে।
সেখান থেকেই চিলে সরকারের সঙ্গে আইনি লড়াই লড়ছেন ইথান। তাঁর আইনজীবীর দাবি, মাঝ আকাশে বিমানটিতে গোলযোগ দেখা দেয়। এর ফলে আন্টার্কটিকায় চিলের এলাকায় নামতে বাধ্য হন ইথান। যদিও, চিলে সরকারের দাবি, ইচ্ছাকৃত ভাবেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন ইথান।
এই মুহূর্তে গোটা পৃথিবীর নজর ইথানের দিকে। জানা গিয়েছে, ক্যান্সারের গবেষণার জন্য তিনি এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৩১ হাজার ডলার তুলতে সফল হয়েছেন। চিলে সরকার জানিয়েছে, ইথানের বিরুদ্ধে তারা কোনও আইনি পদক্ষেপ করবে না, যদি সেদেশের শিশুদের ক্যান্সার হাসপাতালে ৩০ হাজার ডলার দান করেন তিনি। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ওই অর্থ মিটিয়ে দিতে হবে ইথানকে। সেই সঙ্গে চিলের এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হবে। আগামী তিনবছর চিলেতে প্রবেশ করতে পারবেন না ইথান। বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের খরচও তাঁকেই বহন করতে হবে। ইথান চিলের হাসপাতালে ৩০ হাজার ডলার দান করেত রাজি হয়েছেন। কিন্তু কবে তিনি বাড়ি ফিরতে পারবেন, এখনও তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।






















