ধর্ষণে অভিযুক্ত বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা, গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ বিজেপি যুব মোর্চার
অভিযোগ, পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার বিরুডিহায় পরিচারিকা ধর্ষণ করে বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা তথা শিক্ষক কালুরাজ ঘোষ। পরিচারিকার অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে কয়েকমাস ধরে তাঁকে ধর্ষণ করেন বহিষ্কৃত নেতা।
কাঁকসা: ধর্ষণে অভিযুক্ত বহিষ্কৃত বিজেপি নেতাকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি যুব মোর্চার। ঘটনা পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায়। পরিচারিকাকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ আগেই উঠেছিল বহিষ্কৃত বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। তিনি কাঁকসা ৪ নম্বর ব্লকের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি ছিলেন। ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা বিজেপির প্রাক্তন নেতা। পলাতক ওই নেতাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলল তৃণমূল।
অভিযোগ, পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার বিরুডিহায় পরিচারিকা ধর্ষণ করে বহিষ্কৃত বিজেপি নেতা তথা শিক্ষক কালুরাজ ঘোষ। পরিচারিকার অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে কয়েকমাস ধরে তাঁকে ধর্ষণ করেন বহিষ্কৃত নেতা। কিন্তু অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই ফেরার ওই ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই অভিযোগকারিণীর মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত ২৯ ডিসেম্বর থেকেই ফেরার কালুরাজ। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে সোমবার তাঁর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, অবিলম্বে কালুরাজ ঘোষকে গ্রেফতার করতে হবে। এদিকে পলাতক বহিষ্কৃত বিজেপি নেতার পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল। বহিষ্কৃত নেতাকে ধর্ষণের অভিযোগে বিজেপি ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বলে সরব হয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
জেলা সূত্রে খবর, বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘড়ুইয়ের ভাইপো সহদেব ঘড়ুইয়ের বিরুদ্ধেও মাসখানেক আগে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। তারপর থেকেই ফেরার সহদেব। ঘটনার সময় অভিযোগকারিণী ও তাঁর পরিবারের কাঁকসা থানায় অভিযোগ দায়েরের ক্ষেত্রে সাহায্য করেছিলেন বিজেপির তত্কালীন মণ্ডল সভাপতি কালুরাজ। ঘটনাচক্রে, তার কিছুদিন পরেই কালুরাজকে দল থেকে বহিষ্কার করে বিজেপি। এবার সেই কালুরাজের গ্রেফতারের দাবিতে বিজেপি সরব হওয়ায় পলাতক নেতাকে ফাঁসানোর চক্রান্তের অভিযোগ সামনে আনল তৃণমূল।