ঘাটালে প্রকাশ্যে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব, উন্নয়নের কাজে বাধার অভিযোগে ইস্তফা পঞ্চায়েত প্রধানের
তাঁর অভিযোগ, ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা শঙ্কর দলুই তাঁকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করেছেন। সোশাল মিডিয়ায় দিয়েছেন কুপ্রস্তাব।
সোমনাথ দাস,ঘাটাল : ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা শঙ্কর দলুইয়ের বিরুদ্ধে উন্নয়নের কাজে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ তুলে ইস্তফা দিলেন তৃণমূল পরিচালিত মনসুকা দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। পদত্যাগীর বিরুদ্ধে পাল্টা বিশ্বাসঘাতকতার রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন শাসক শিবিরের অভিযুক্ত নেতা। ঘটনাকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপিকে হারিয়ে বাংলার মসনদ ধরে রাখলেও দলের মধ্যে এখনও বইছে অন্তর্দ্বন্দ্বের চোরাস্রোত।এবার প্রকাশ্যে এল ঘাটালের তৃণমূল পরিচালিত মনসুকা দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব। প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন পুতুল পাত্র। তাঁর অভিযোগ, ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা শঙ্কর দলুই তাঁকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করেছেন। সোশাল মিডিয়ায় দিয়েছেন কুপ্রস্তাব।
পদত্যাগী পঞ্চায়েত প্রধান পুতুল পাত্রের অভিযোগ, যে সমস্ত বুথগুলোয় বিজেপি জিতেছে সেখানে মানুষের কোন উন্নয়নের কাজ করা যাবে না। আমাকে ফোনে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাজ করতে না পারলে পদে থেকে কীনলাভ? তাই আমি আমি সেই সময় পদত্যাগ পত্র দিই। পরে প্রত্যাহারের কথা ভাবলেও আমাকে তা করতে দেওয়া হয়নি। প্রাক্তন বিধায়ক বিভিন্ন সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ার কুপ্রস্তাব দেন।
এই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে ফোনকলের অডিও। তৃণমূল সূত্রে খবর, ওই ফোনে এলাকা বেছে উন্নয়নের কাজ করার নির্দেশ দিচ্ছেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা শঙ্কর দলুই। অডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।
অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করেছেন শঙ্কর দলুই। তিনি বলেছেন, দলকে না জানিয়ে বিধানসভা ভোটের আগে উনি বিজেপির হয়ে কাজ করছিলেন। আমাদের দলের কিছু নেতারা আমাদেরই হারানোর চেষ্টা করেছেন বলে খবর পেয়েছি। তাই সেসব জায়গায় কাজ বন্ধ রাখার কথা বলেছি। আমার কুপ্রস্তাব দেওয়া সংক্রান্ত অভিযোগের জবাব দিতে রুচিতে বাঁধে।
তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে আসায় কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির।ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেছেন,তৃণমূল এখন বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে।তাই যে সমস্ত জায়গায় বিজেপি জিতেছে সেই সমস্ত প্রধানকে বলছে,ওই সমস্ত জায়গাতে যেন উন্নয়নের কোন কাজ না হয়। এভাবে বিজেপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে, এমনকি বেশ কিছু তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটে রাজ্যে তৃণমূল জিতলেও ঘাটালে তৃণমূল প্রার্থী শঙ্কর দলুইকে ৯৬৬ ভোটে হারিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী শীতল কপাট।