Homosexuality: সমকামিতা আসলে ব্যাধি, বিয়েতে অনুমতি দিলে মহামারির আকার নেবে, দাবি RSS-মহিলা সংগঠনের
RSS: চিকিৎসক, চিকিৎসাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরাও সমকামিতাকে ব্যাধি মনে করেন বলে দাবি করা হয়েছে ওই সমীক্ষায়।
নয়াদিল্লি: সমলিঙ্গের বিয়ে নিয়ে শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। জীবনসঙ্গী বাছাইয়ে অধিকার কেন পাবেন না সমকামীরা, তা নিয়ে চলছে কাটাছেঁড়া। সেই আবহেই বিতর্কিত মন্তব্য করল রাষ্ট্রীয় স্বয়ম সেবক সঙ্ঘের (RSS) মহিলা শাখা ‘সমবর্ধিনী ন্যাস’। তাদের একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সমকামিতা আসলে এক ব্য়াধি। সমলিঙ্ঘের বিয়ে (Samesex Marriage) আইনি ছাড়পত্র পেলে, তা আরও ছড়িয়ে পড়বে (Homosexuality)।
চিকিৎসাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরাও সমকামিতাকে ব্যাধি মনে করেন বলে দাবি
চিকিৎসক, চিকিৎসাক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞরাও সমকামিতাকে ব্যাধি মনে করেন বলে দাবি করা হয়েছে ওই সমীক্ষায়। সঙ্ঘের আরও একটি মহিলা শাখা, রাষ্ট্র সেবিকা সমিতির দাবি, আধুনিক এবং আয়ুর্বেদ চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত ৩১৮ জনের মতামত গ্রহণ করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই সমকামিতাকে ব্যাধি বলে উল্লেখ করেছেন।
‘সমবর্ধিনী ন্যাস’ জানিয়েছে, চিকিৎসক এভং স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের ৭০ শতাংশই সমকামিতাকে ব্যাধি বলে উল্লেখ করেছেন। বলা হয়েছে, সমকামিতা থেকেই যে যৌনরোগ ছড়িয়ে পড়ে, সমকামী সম্পর্ক মহামারির আকার নেয়, সে কথাও ৮০ শতাংশ চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞ স্বীকার করেছেন। তাদের দাবি, 'সমলিঙ্গের বিয়েতে আইনি সিলমোহর পড়লে, সমাজে এই ব্যাধি আরও ছড়িয়ে পড়বে। তাই রোগের চিকিৎসা করার থেকে, স্বাভাবিক হিসেবে জায়গা করে দেওয়ার থেকে, গোড়াতেই নির্মূল করে দেওয়া উচিত। সমীক্ষাতেও তেমনই মতামত উঠে এসেছে'।
সমকামিতাকে মানসিক রোগ হিসেবে দেখা উচিত এবং সময় থাকতে থাকতে কাউন্সেলিং করানো উচিত বলেও দাবি ‘সমবর্ধিনী ন্যাস’-এর। সমলিঙ্গের বিয়েতে অনুমোদন দেওয়ার আগে সাধারণ মানুষের মতামত গ্রহণ করা উচিত বলেও দাবি তোলা হয়েছে। সমকামী অভিভাবক সন্তানকে সঠিক শিক্ষায় বড় করতে অক্ষম বলেও চিকিৎসকদের ৬৭ শতাংশ একমত, এমনও দাবি করা হয়েছে।
আগেই এ নিয়ে আপত্তির কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার
সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে সমলিঙ্গের বিবাহ মামলার শুনানি চলছে। কেন্দ্রীয় সরকার আগেই এ নিয়ে আপত্তির কথা জানিয়েছে। সমলিঙ্গের বিবাহ ভারতীয় সংস্কৃতি, সামাজিক, পারিবারিক রীতিনীতির পরিপন্থী বলে জানিয়েছে তারা। এমনকি এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট কোনও সিদ্ধান্ত না গ্রহণ করে যাতে বিষয়টি সরকারের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়, এমনও সুপারিশ করা হয়েছে। ‘সমবর্ধিনী ন্যাস’-এর দাবি ৫৭ শতাংশ চিকিৎসকও এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চান না।