স্টান্ট ভিডিও-র টানে দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ যুবকের দেহ উদ্ধার
ভিডিও শ্যুটের জন্য বিদ্যাসাগর সেতু বা দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে মাঝগঙ্গায় ঝাঁপ দিয়েছিলেন দুই যুবক। একজনকে উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ ছিলেন একজন। অবশেষে আজ দইঘাটে তিলজলার এই নিখোঁজ যুবকের দেহ উদ্ধার করা হল। ওই যুবকের নাম জাকির সর্দার।
কলকাতা: ভিডিও শ্যুটের জন্য বিদ্যাসাগর সেতু বা দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে মাঝগঙ্গায় ঝাঁপ দিয়েছিলেন দুই যুবক। একজনকে উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ ছিলেন একজন। অবশেষে আজ দইঘাটে তিলজলার এই নিখোঁজ যুবকের দেহ উদ্ধার করা হল। ওই যুবকের নাম জাকির সর্দার।
ইচ্ছে ছিল দু চার ফুট নয়, প্রায় ২০০ ফুট উপর থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়ার দৃশ্য ইউটিউবে আপলোড করে চমকে দেবেন সকলকে! সেই হাতছানিতেই ভয়ঙ্কর খেলা! রবিবার দুপুরে বন্ধুদের তুমুল চিত্কারের মধ্যে মাঝ গঙ্গায় ঝাঁপ দেন মহম্মদ তস্তিগির আলম নামে এক যুবক। তাঁর দেখাদেখি আরও একজন দ্বিতীয় হুগলি সেতুর রেলিং থেকে ঝাঁপ দেন গঙ্গায়! ঝাঁপ দেওয়া প্রথম যুবককে উদ্ধার করা গেলেও দ্বিতীয়বারে ঝাঁপ দেওয়া জাকির সর্দারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
তিন তিনটি রেলিং পেরিয়ে পুলিশের নজর এড়িয়ে কীভাবে ঝাঁপ দিলেন ওই যুবকরা? ঘটনার পর সেই প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনার পর দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
মহম্মদ তাস্তিগির আলম এবং মহম্মহ জাকির সর্দার দুই বন্ধু। তাঁরা দুজনেই ঝাঁপ দিয়েছিলেন। তাঁরা দুজনেই কলকাতার তিলজলার বাসিন্দা। তাস্তিগিরকে পাওয়া গেলেও এতদিন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না জাকিরের। প্রত্যেকেই সাঁতার জানতেন বলে দাবি অন্য বন্ধুদের। বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলে মজার ভিডিও করতে যাওয়াই কাল হল। মোবাইলের ক্যামেরা চালু করে রেখেছিলেন অন্য বন্ধুরা। দুই যুবক ঝাঁপও দেন গঙ্গায়। তাঁদের মধ্যে একজন গঙ্গায় তলিয়ে যান। একজনকে উদ্ধার করা যায় ঘটনার দিনই। ঝাঁপ দেওয়ার আগে পর্যন্ত পুলিশ চলে এলে বিপদ হবে তা তাঁরা জানত। তা নিয়ে আলোচনাও শোনা গিয়েছে ওই ভিডিও-তে। বন্ধুরা তাঁদেরকে ‘খতরো কে খিলাড়ি’ বলেও সম্বোধন করেন ভিডিও করার সময়।