Third Wave in India: ফেব্রুয়ারিতেই ভারতে আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ, সতর্ক করলেন বিজ্ঞানী
Third Wave In India: ভারতে ফের কোভিড ঝড় উঠতে পারে। নতুন বছরেই ওমিক্রনের জেরে দৈনিক লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত হবে বলে সতর্ক করলেন আইআইটির বিজ্ঞানী।
নয়া দিল্লি: বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ওমিক্রন সংক্রমণ। ভারতেও প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই আবহে দেশে ফের করোনার নতুন ঢেউ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনার কথা জানালেন আইআইটির বিজ্ঞানী মনীন্দ্র আগরওয়াল। আগাম সতর্কবার্তা দিয়ে বিজ্ঞানী বলেন যে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংক্রমণ ফের শিখর ছোঁবে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ থেকে দেড় লক্ষ পর্যন্ত হবে।
এই বিজ্ঞানী ম্যাথমেটিকাল প্রোজেকশনের মাধ্যমে করোনা ঢেউয়ের এই পূর্বাভাস দিয়েছেন। তৃতীয় ঢেউ নিয়ে ভারতকে কতটা সতর্ক হতে হবে? সংবাদসংস্থা পিটিআইকে মনীন্দ্র জানান, "নতুন এই প্রজাতির জেরে দেশ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তৃতীয় তরঙ্গের মুখোমুখি হবে। যদিও দ্বিতীয় তরঙ্গের থেকে অনেকটা প্রাবল্য কম হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, ওমিক্রন (Omicron) আতঙ্কের মাঝেই চিন্তার খবর শোনালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organization) প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন (Soumya Swaminathan)। তিনি সোমবার বলেন, ডেল্টার (Delta Variant) তুলনায় ওমিক্রনে সংক্রমণ ছড়াবে বেশি। প্রথম সংক্রমণের ৯০ দিনের মধ্যে ফের পুনঃসংক্রমণ (Reinfection) হওয়ায়র সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও এই প্রজাতিতে অনেক বেশিমাত্রায় শিশুরাই আক্রান্ত হবে বলে জানান হয়েছে।
বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানান যে ওমিক্রনের প্রজাতি বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকার অত্যন্ত প্রভাবশালী স্ট্রেন। যদিও এর বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আরও অনেকটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিজ্ঞানীর কথায়, "প্রায় তিনগুণ বেশি হারে সংক্রমণ বাড়ছে। এটি কতটা গুরুতর তা জানতে হাসপাতালে ভর্তির হার বিশ্লেষণ করতে হবে। কম করে এখনও দুই থেকে তিন সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।"
আরও পড়ুন, কমিউনিটি সংক্রমণ শুরু হয়েছে ব্রিটেনে, নিশ্চিত করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চিন্তা বাড়িয়ে তিনি এও জানান যে, “দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন প্রজাতি অত্যন্ত দ্রুত হারে বাড়ছে। প্রতিবেদনে দেখা যায় যে সে দেশে আরও বেশি শিশু এই স্ট্রেনে আক্রান্ত হচ্ছে।" এদিকে এখনও শিশুদের জন্য ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। শুধুমাত্র কয়েকটি দেশ তাদের শিশুদের টিকা দিচ্ছে। তিনি এও বলেন যে শিশুদের জন্য ভ্যাকসিনের অনুপস্থিতি কোভিড-১৯ সংক্রমণের বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে।