![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
MHA Covid19 Guidelines : দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে কোভিড, রাজ্যগুলিকে কন্টেনমেন্ট পরিকল্পনা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
কত পর্যন্ত কন্টেনমেন্ট জোন করা যেতে পারে তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকেই। তারাই জনঘনত্ব, হাসপাতালের পরিকাঠামো, ম্যান পাওয়ারের কথা চিন্তা করে কন্টেনমেন্ট জোনের পরিধি ঠিক করবে।
![MHA Covid19 Guidelines : দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে কোভিড, রাজ্যগুলিকে কন্টেনমেন্ট পরিকল্পনা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের Implement intensive, local, containment framework to prevent Covid spread, MHA said to states MHA Covid19 Guidelines : দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে কোভিড, রাজ্যগুলিকে কন্টেনমেন্ট পরিকল্পনা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/04/20/fed5521e27722d1228b42877071cedcf_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
দিল্লি : দেশজুড়ে লকডাউনের বিকল্প পথে হাঁটতে চাইছে কেন্দ্র। সম্পূর্ণ লকডাউনের পরিবর্তে স্থানীয় পর্যায়ে করোনার ঠেকাতে চাইছে সরকার। এই মর্মে এবার সব রাজ্যকে বার্তা পাঠাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
দেশে ঊর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ। কিছুতেই বাগে আসছে না পরিস্থিতি। তাই গোড়া থেকেই করোনা রুখতে চাইছে কেন্দ্র। সেই কারণে বেছে বেছে কন্টেনমেন্ট জোন করতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। নির্দিষ্ট সূচকের ভিত্তিতে বাছতে হবে করোনার গতিবিধি। কী বলা হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বার্তায় ?
ভাঙতে হবে কোভিডের চেন
সোমবারই দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভল্লা বলেছেন, '' কোভিডের চেন ভাঙতে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিক রাজ্যগুলি। জেলায় জেলায় সংক্রমণের ভিত্তিতে কন্টেনমেন্ট জোনের পরিকল্পনা করা হোক। তবেই এই মারণ রোগ থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করা যাবে।''
প্রমাণ-সাপেক্ষে কন্টেনমেন্ট
এক্ষেত্রে কোনও পরিবার বা নির্দিষ্ট কোনও করোনা আক্রান্তকে আটকানোর কথা বলেনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বলা হয়েছে, ছোট কন্টেনমেন্ট জোনের পরিবর্তে বড় শহর, গ্রাম বা শহরতলির কথা ভাবুক রাজ্যগুলি। করোনা রুখতে এইসব এলাকা বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে এ সবকিছুই তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে করতে বলা হয়েছে। প্ল্যান অনুযায়ী, এইসব এলাকায় পাবলিক ট্রান্সপোর্টের সব ভেহিকেল চলাফেরা করতে পারবে।
কত পর্যন্ত কন্টেনমেন্ট জোন করা যেতে পারে তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকেই। তারাই জনঘনত্ব, হাসপাতালের পরিকাঠামো, ম্যান পাওয়ারের কথা চিন্তা করে কন্টেনমেন্ট জোনের পরিধি ঠিক করবে। কোনও জায়গায় কোভিড পজিটিভ রেট ১০ শতাংশের ওপরে হলেই সেই স্থানকেও কন্টেনমেন্ট জোন হিসাবে ভাবা যেতে পারে। একইভাবে কোনও এলাকার হাসপাতলের ৬০ শতাংশ বেড এক সপ্তাহের ওপর বুক থাকলে সেখানেও কন্টেনমেন্ট জোন করার বিষয়ে ভাবা যেতে পারে।
করোনা চেন ভাঙতে কী ব্যবস্থা ?
একবার কোনও এলাকা কন্টেনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্নিত হলে সেখানে একাধিক বিধিনিষেধ জারি করা যেতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চিঠিতে বলা হয়েছে, জোন ঘোষণা হলেই সেখানে নাইট কার্ফু, জমায়েতে নিষেধাজ্ঞার মতো নির্দেশ জারি করা যেতে পারে।
এছাড়াও করোনা রুখতে সব বার, রোস্তোরাঁ, সুইমিং পুল, শপিং কমপ্লেক্সে নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত। একবার নিষেধাজ্ঞা জারি হলে তা ন্যূনতম ১৪দিন বলবৎ রাখতে হবে। তবে নিষেধাজ্ঞা জারির আগে তা সবাইকে ঘোষণা করে জানাতে হবে। একমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বাদে কোনও পররিষেবাই সেই সময় কন্টেনমেন্ট জোনে সচল থাকবে না।
টেস্ট, ট্র্যাক, ট্রিট
প্রয়োজনে সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে প্রশাসনকে। সেই ক্ষেত্রে উপসর্গযুক্ত রোগীদের ফের আরটিপিসিআর করতে বলা হয়েছে চিঠিতে। তবে উপসর্গযুক্ত Rapid Antigen Test-এ যাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে, এই পিসিআর পরীক্ষা তাঁদের জন্যই প্রয়োজন।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)